ভবিষ্যৎ দেখতে পায় এই মাছ, এবার জানিয়ে দিল ভূমিকম্পের কথা
তাদের দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলেই মনে করেন সাধারণ মানুষ। সহজে দেখাই মেলেনা এদের। তাদের দেখতে পাওয়া মানেই অশনিসংকেত।
সমুদ্রে প্যাডেল বোটে করে যাওয়ার সময় আচমকাই তার দেখা মেলে। এ মাছের দেখা যেমন জীবনে একবার পাওয়া মানেও অনেক। তেমনই আবার একে দেখা মানেই অশনিসংকেত। মানে কিছু তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। আর তা দ্রুতই আছড়ে পড়তে চলেছে।
মাছটির নাম অরফিশ। অবশ্য অরফিশের চেয়ে তারা অনেক বেশি পরিচিত ডুমসডে ফিশ নামে। ক্যালিফোর্নিয়ার কাছে সমুদ্রে এই মাছটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত খবর যায় ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর কাছে। তারা এসে আড়াই ফুট লম্বা পাতলা চেহারার মাছটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই মাছ সমুদ্রের অনেক গভীরে বসবাস করে। সচরাচর জলের উপরিতলে আসেনা। তাই তাদের দেখাও মেলেনা। পাতলা চেহারার মাছগুলির শরীরে কাঁটাও খুব কম। এমনকি মাছের যেমন শিরদাঁড়ার মত কাঁটা থাকে, এ মাছের তাও থাকেনা।
এরা তাই শরীরটাকে যেভাবে ইচ্ছা গুটিয়ে নিতে পারে। রূপোলী রংয়ের ওপর কালো ছিটের এই মাছটি উদ্ধার হওয়ার পর সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় তার জীবন শেষ হওয়ার কারণ জানতে।
এটাও বোঝার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা যে তারা কীভাবে আগাম প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর পায়। এক্ষেত্রে মাছটিকে গত ১০ অগাস্ট দেখতে পাওয়া যায়। আর তার ২ দিন পরই লস অ্যাঞ্জেলসে ভূমিকম্প হয়।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। ডুমসডে ফিশ দেখা গেছে মানেই কিন্তু একটা না একটা কিছু এমন হবেই। এটা এই একবিংশ শতাব্দীতেও বিশ্বাস করেন সকলেই।