না জেনেই ১৮ বছর ধরে পাশের ফ্ল্যাটের বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে এলেন এক ব্যক্তি
তিনি জানতেনই না এমনটা ঘটছে। অথচ তিনি পাশের ফ্ল্যাটের ইলেকট্রিক বিল মিটিয়ে এসেছেন ১৮ বছর ধরে। বিষয়টি নজরে এল কাকতালীয়ভাবে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁর বিদ্যুতের বিল বেশি আসছিল। এত মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল আসার মত তো তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেননা। তাহলে কেন এমন বিল আসছে? এমনকি বিদ্যুতের বিল বেশি হওয়া আটকাতে তিনি নিজের ফ্ল্যাটে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর চেষ্টাও করেন।
কিন্তু উল্টে বিল আসে অনেক বেশি অঙ্কের। প্রথমে তাঁর মনে হয়েছিল হয়তো তাঁর মিটার থেকে কেউ বিদ্যুৎ চুরি করছে। অথবা মিটারেই গণ্ডগোলটা রয়েছে। এসব ভেবে তিনি হাজির হন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কাছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর বিদ্যুৎ সংস্থার তরফ থেকে ওই ব্যক্তির মিটার পরীক্ষার জন্য লোক পাঠানো হয়। তাঁরা এসে মিটার পরীক্ষা করে দেখেন মিটারে কোনও সমস্যা নেই।
তারপরও কেন বিল বেশি আসছে তার কারণ খুঁজতে গিয়ে তাঁদের নজরে পড়ে যে ওই ব্যক্তির মিটারে ঢুকেছে তাঁর ফ্ল্যাটের নয়, বরং তাঁর পাশের ফ্ল্যাটের তার। যা বিদ্যুৎ সংস্থারই করে যাওয়া।
২০০৬ সালে ওই আবাসনে বাসিন্দারা থাকতে আসেন। তখন থেকেই এই কাণ্ড হয়ে আছে বলে মনে করছেন ওই ভুক্তভোগী ব্যক্তি।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির কাছে অবশ্য এজন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে প্যাসিফিক গ্যাস অ্যান্ড ইলেকট্রিক নামে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা। পুরো বিষয়টি শুধরে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে বিদ্যুৎ সংস্থা।
বিষয়টি নজরে আসার পর অনেকেই এখন সন্দেহ করতে শুরু করেছেন তাঁদের মিটারে আবার অন্য কারও তার ঢোকানো নেই তো! বিশেষত যাঁদের মোটা অঙ্কের বিল আসে তাঁদের মন খুঁত খুঁত করা শুরু হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ঘটনাটি বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে।