বিশ বছর পর, এভাবেও ফিরে আসা যায় দেখিয়ে দিল একটা মাছ
একটা মাছ কার্যত বিজ্ঞানীদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এভাবেও যে ফিরে আসা যায় তা সেই মাছ প্রমাণ করে দিয়েছে হাতেনাতে।
বিশ সাল বাদ বা ২০ বছরে অনেক কিছু বদলে যায়। ঝাপসা হয়ে যায় ২০ বছর আগের স্মৃতি। সেই ২০০৫ সালের কথা। সে সময় এই মাছ বেশ দাপিয়েই ঘুরে বেড়াত মেকং নদীতে। তাদের বলা হত মেকং ঘোস্ট।
একটু অন্যরকম চেহারা। চোয়ালের কাছটা হুকের মত বাঁকানো। দেহটা টানা লম্বা। একটু অদ্ভুত দর্শন। তাই হয়তো এদের নাম মেকং ঘোস্ট বা মেকং নদীর ভূত।
২০০৫ সালে তাদের শেষবার দেখা গিয়েছিল কম্বোডিয়ার বিখ্যাত মেকং নদীর জলে। তারপর থেকে তাদের আর দেখা মেলেনি। বছরের পর বছর কেটেছে। মেকং এমনিতেই প্রচুর মাছের উৎপাদনের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। সারাবছরে প্রচুর মাছ ওঠে এ নদী থেকে।
সেখানে আর সব মাছের দেখা মিললেও এই মেকং ঘোস্টের দেখা মেলেনি। ফলে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে এ মাছ অবলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ২০২৪ সালে পৌঁছে ফের তার দেখা পাওয়া গেল।
মাঝে কেটে গেছে ২০ বছর। এই ২০ বছরে তার কোনও খোঁজ না থাকলেও এবার আবার তার দেখা মিলেছে। আর বেশ প্রমাণ চেহারার মেকং ঘোস্টই পাওয়া গিয়েছে।
মেকং নদীর জলে প্রচুর মাছ। আর তা ধরাও হয় সারাবছর। বছরে ২০ লক্ষ টন মাছ পাওয়া যায় এই মেকং থেকেই। কম্বোডিয়ার মৎস্য বিষয়ক প্রশাসনিক কর্তারা ২০ বছর পর ফের মেকং ঘোস্টের দেখা পাওয়ার পর তাকে তালিকা ভুক্ত করেছেন।
যেসব মাছকে রক্ষা করা হয় তাদের একটি তালিকা রয়েছে। এদের ধরা হয়না। সেই তালিকায় জায়গা পেয়ে গেল এই মেকং ঘোস্ট মাছটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা