মাটির তলা থেকে বেরিয়ে এল হাজার বছর পুরনো দ্বাররক্ষী
মাটির তলায় কতদিন যে তা ছিল তা পরিস্কার নয়। তবে মাটির বেশ কিছুটা তলায় ছিল। কীভাবে তার স্থান মাটির তলায় হল তা খতিয়ে দেখা চলছে।
প্রাচীন রাজপ্রাসাদ বলে কথা! প্রাসাদে অনেকগুলি এক একটি তোরণের মত শিল্পকীর্তি। তারই একটি খতিয়ে দেখার কাজ চলছিল। সেখান থেকে কিছু পাথর কীভাবে খসে পড়েছে তাও দেখা হচ্ছিল। এসব করার সময় সেখানে মাটিতে খননকার্যও করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
মাটির ১৪০ সেন্টিমিটার তলায় পৌঁছতেই একটি মূর্তির দেখা পান তাঁরা। দেখা যায় সেটি অন্য কোথাকার নয়, সেই রাজপ্রাসাদেরই দ্বারের দ্বাররক্ষীর মূর্তি। ১২ নম্বর দ্বারের দ্বাররক্ষী বলেও জানতে পারেন বিশেষজ্ঞেরা।
১১ শতাব্দীতে তৈরি হয় এই প্রাসাদ। তখন তার শিল্পকীর্তিতে এই দ্বাররক্ষীদের মূর্তিও বেলে পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। তারপর বিভিন্ন দ্বারে তা বসিয়ে দেওয়া হয়।
কম্বোডিয়ার আঙ্কোর আর্কিওলজিক্যাল পার্কে আঙ্কোরথমের রয়্যাল প্যালেসের একটি দ্বাররক্ষীর মূর্তি এভাবে মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়ার পর তা পরিস্কার করে যেখানে ছিল সেখানেই ফের বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই পার্কের দায়িত্বে থাকা কম্বোডিয়া সরকারের অপ্সরা ন্যাশনাল অথরিটি।
যথাস্থানে এই প্রাচীন দ্বাররক্ষীর মূর্তিটি বসানোর আগে মূর্তিটিকে ভাল করে পরীক্ষা করতে চাইছেন বিশেষজ্ঞেরা। তা পরীক্ষা করে তার সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন তাঁরা। বোঝার চেষ্টা করছেন তা মাটির তলায় গেল কীভাবে?
বিশেষজ্ঞেরা এটাও জানিয়েছেন যে এই প্রাসাদের অনেকগুলি দ্বার। সেখানে দ্বাররক্ষীদের মূর্তিও বসানো রয়েছে। তবে মূর্তিগুলি একইরকম দেখতে বা একই আকারের নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা