বাঁদরই সমস্যার মূল, পুরো পার্ক জুড়ে পর্যটকদের হয়রানি চরমে
সুন্দর সাজানো পার্ক। যেখানে বহু দেশ বিদেশের পর্যটক ভিড় করেন। সেখানে এখন কার্যত পর্যটকদের জন্য বিভীষিকা হয়ে উঠেছে একদল বাঁদর।
৪০১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটা পার্ক। যেখানে রয়েছে অনেক মন্দির। এছাড়াও রয়েছে নানা সুন্দর স্থাপত্য। নবম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর সময়কালে এই পুরো চত্বরটি পূর্ণ রূপ পেয়েছিল। এখন তা ইউনেস্কো ঘোষিত হেরিটেজ।
যেখানে সারাবছর লক্ষ লক্ষ দেশি বিদেশি পর্যটকের ভিড় জমে। এখানে পর্যটকদের আনাগোনা পুরো এলাকার অর্থনৈতিক চেহারাই বদলে দিয়েছে। বহু মানুষের রুটিরুজির যোগান দিচ্ছে এই আঙ্কোর আর্কিওলজিক্যাল পার্ক।
যেখানে রয়েছে মোট ৯১টি নানা আকারের মন্দির। ২০২৪ সালে সেখানে কেবল বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষের ওপর। বিগত বছরে কেবল টিকিট বিক্রি থেকে উপার্জন হয়েছে ৪৭.৮ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৪১৮ কোটি টাকার মতন।
কম্বোডিয়ার আঙ্কোর আর্কিওলজিক্যাল পার্ক সে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। আর সেখানেই পর্যটকদের জন্য বিভীষিকা হয়ে উঠেছে একদল বাঁদর। তারা পর্যটকদের কাছে খাবার না পেলে তাঁদের আক্রমণ করছে। আহত করছে।
সঙ্গে খাবার থাকলে তা কেড়ে নিয়ে নিচ্ছে। ওরা আর জঙ্গলে খাবার খুঁজতে যায়না। অপেক্ষায় থাকে কখন পর্যটকেরা ঢুকতে শুরু করবেন। আর তারা খাবার পাবে।
বাঁদরদের এই প্রবণতার কারণ হিসাবে একদল ফটোপ্রেমী মানুষকেই দায়ী করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ছবি তোলার জন্য বাঁদরদের খাবার দিয়ে দিয়ে কিছু ফটোপ্রেমী তাদের অভ্যাস নষ্ট করে দিয়েছেন।
এখন বাঁদররা পাল্টা খাবার না পেলে আক্রমণ করছে। এটা এমন এক সমস্যা হয়েছে যে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক পেয়ে বসছে। যা কিন্তু সেখানকার অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক।
পর্যটকেরা যদি আসা কমিয়ে দেন তাহলে ক্ষতি সকলের। আপাতত এই বাঁদরদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বাঁদররা তাদের কাজ প্রতিদিনই চালিয়ে যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা