World

বিড়াল, টিকটিকি, কিং কোবরা রান্না করে হাজতে দম্পতি

মেছো বিড়াল, বিরল পাখি, বড় টিকটিকি, কিং কোবরা সহ এমন নানা বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণ শিকার করে তার ছাল ছাড়ানো থেকে গুছিয়ে রেঁধে খাওয়া। সবই ইউটিউবে আপলোড করতেন স্বামী-স্ত্রী। কারণ একটাই। বন্যপ্রাণিদের কেটে রেঁধে পেটে চালান করার ভিডিও সোশ্যাল সাইটে আপলোড করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা। সেই উদ্দেশ্য অবশ্য কতটা সফল হয়েছে জানা নেই। তবে এসব কাণ্ডকারখানার জন্য আপাতত পশুপ্রেমী সংগঠনের তৎপরতায় কম্বোডিয়ার শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে আ লিন তুচ ও তাঁর স্বামী ফন র‍্যাটির।

কম্বোডিয়ার রাজধানী শহর নম পেন-এর বাসিন্দা ওই দম্পতির বাড়ির অনতিদূরে গভীর অরণ্য। সেই জঙ্গল বিচিত্র পশুপাখিদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র। সেই অরণ্যভূমি থেকে বড় টিকটিকি, ব্যাঙ, কিং কোবরা, নানা প্রজাতির পাখি ধরে বেশ কয়েক মাস যাবত ভুরিভোজ করে চলেছেন ওই দম্পতি। তাদের ছাল ছাড়ানো ছবি থেকে, রেঁধে খাওয়ার ছবি সবই ইউটিউবে আপলোড করতেন তাঁরা। নিরীহ প্রাণিদের শিকার করে স্বামী-স্ত্রীর এহেন রাক্ষুসে ভোজনে রেগে কাঁই হয়ে যান নেটিজেনরা। টাকার লোভে বন্যপ্রাণিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার ভিডিও ভাইরাল হতেই দম্পতির নামে ঢিঢি পড়ে যায়।


র‍্যাটি ও লিনের দানবিক ভোজনযজ্ঞের খবর কানে পৌঁছায় বিশ্ব পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ দফতরের অধিকর্তাদেরও। তাঁদের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় ওই দম্পতিকে। জেরায় সহজতম পদ্ধতিতে টাকা রোজগার করতে এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার কথা স্বীকার করেন তাঁরা। কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চান দু’জনে। ওই দম্পতির দাবি, বন থেকে নয়, স্থানীয় বাজার থেকে সংরক্ষিত প্রাণিগুলির মৃতদেহ কিনে তাঁরা রেঁধে খেয়েছেন। তাঁদের বয়ানের সত্যতা যাচাই করতে স্থানীয় বাজারগুলিতে ঢুঁ মারতে শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এমন জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button