নদীতে এত বড় মাছ কেউ কখনও দেখেনি, মাছ দেখে চক্ষু ছানাবড়া গবেষকদেরও
সমুদ্রে অতিকায় মাছের দেখা মিলেছে। কিন্তু নদীর জলে কখনও এত বড় মাছ দেখা যায়নি। যা চোখের দেখা দেখতে ছুটে এলেন গবেষকেরাও।
মাছ ধরতেই নদীতে জাল ফেলেছিলেন ওই মৎস্যজীবী। সেই জালে মাছও উঠল। তবে যে মাছ উঠল তা দেখে চক্ষু ছানাবড়া গবেষণার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনেরও।
তাঁরা মাছ নিয়ে গবেষণা করেন। ফলে বড় চেহারার মাছ তাঁরা দেখেছেন। তা বলে ৩০০ কেজি ওজনের একটা মাছ! তাও আবার নদীর জলে! এ তাঁরাও বিশ্বাস করতে পারছেন না।
কিন্তু তেমনই একটি মাছ উঠেছে এক মৎস্যজীবীর জালে। এই শঙ্কর মাছটি লম্বায় ১৩ ফুট। যাকে জালে ধরে রাখাটাই ছিল একটা চ্যালেঞ্জ।
ওই মৎস্যজীবী মাছটি জল থেকে টেনে তোলার পরই বুঝতে পারেন যে এ সাধারণ মাছ নয়। দ্রুত খবর দেন ওয়ান্ডার্স অফ মেকং নামে সংগঠনকে। যেখানে মেকং নদীর অতিকায় মাছদের ওপর গবেষণা হয়।
কম্বোডিয়ার মেকং নদীর জল থেকে ওঠা সেই শঙ্কর মাছটি দেখে গবেষকরাও হতবাক হয়ে গেছেন। মিষ্টি জলেও যে এত বড় মাছ হতে পারে তা এদিন দেখার পর তাঁদের বিশ্বাস হয়েছে।
শঙ্কর মাছটিকে অবশ্য ফের জলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নদীর মিষ্টি জলে এত বড় মাছ রয়েছে এটাও একটা বড় আবিষ্কার বলেই মনে করছেন সকলে। তাই তাঁরা চাইছেন শঙ্কর মাছটি তার জীবনটা পুরো বাঁচুক নদীর জলেই।
বিশ্বে এখনও কোনও নদী বা দিঘিতে এত বড় মাছের দেখা মেলেনি। সেদিক থেকে এটা একটা ইতিহাস রচনা করল। এর আগে থাইল্যান্ডে নদীর জল থেকে ওঠে একটি ক্যাটফিশ। সেটির ওজন ছিল ২৯৩ কেজি। এই শঙ্কর মাছটি জল থেকে ওঠার আগে ওই ক্যাটফিশই ছিল মিষ্টি জলের সর্ববৃহৎ মৎস্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা