২ হাজার বোমার ওপর স্কুলে নিশ্চিন্তে চলছিল ক্লাস, বাগানই করল পর্দা ফাঁস
আর পাঁচটা স্কুলের মতই একটি স্কুল। কিন্তু সে স্কুল দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার বোমার ওপর। তাও যে সে বোমা নয়। একেবারে যুদ্ধ করা যায় এমন বোমা।
বিশাল স্কুলটিতে নিয়মিত ক্লাস হয়ে আসছে। পড়ুয়ারা নিয়ম মেনে স্কুলে আসে যায়। সবই চলছিল আর পাঁচটা স্কুলের মতই। কিন্তু কারও জানা ছিলনা গোটা স্কুলটা দাঁড়িয়ে আছে আগুনের গোলার ওপর। কোনওভাবে তা ফেটে বার হওয়ার অপেক্ষা।
পুরো স্কুল চত্বরটাই দাঁড়িয়ে ছিল ২ হাজারের ওপর ভয়ংকর সব বিস্ফোরকের ওপর। যার মধ্যে অধিকাংশই অতিশক্তিশালী গ্রেনেড। ২ হাজার ৩৩টি এমন গ্রেনেডই পাওয়া গিয়েছে মাটির তলা থেকে। এছাড়া ১৮টি ফিউজ সেল এবং কয়েকটি বুলেট উদ্ধার হয়েছে।
এখনও কি মাটির তলায় আরও কিছু রয়ে গেছে? নিশ্চিত নন কেউই। তাই খতিয়ে দেখা চলছে। কিন্তু স্কুলটি যে নিশ্চিন্তে এত পড়ুয়া নিয়ে ২ হাজারের ওপর গ্রেনেডের ওপর চলছিল তা জানা গেল কীভাবে?
স্কুলের বাগানই এই কৃতিত্বের দাবিদার। স্কুলটির সৌন্দর্যায়নের জন্য যে বাগানটি রয়েছে তাকে আরও বড় করার কাজ চলছিল। তখনই মাটিতে হাত পরে। মাটি খোঁড়া হয়।
আর মাটি খুঁড়তেই তার তলায় এই হাজার হাজার গ্রেনেডের দেখা মেলে। যা ফাটলে ওই স্কুল কেন গোটা তল্লাট উড়ে যেত নিমেষে।
কিন্তু এখানেই শেষ নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের ধারনা ওই এলাকায় আরও অনেক এমন বিস্ফোরক মাটির তলায় লুকিয়ে আছে।
১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে কম্বোডিয়ায় ২ লক্ষ ৩০ হাজারের ওপর বোমাবর্ষণ করে আমেরিকা। অজস্র ল্যান্ডমাইন পোঁতা রয়েছে কম্বোডিয়ার মাটির তলায়। এজন্য কম্বোডিয়ার অন্তর্কলহের অবদান কম নয়।
সব মিলিয়ে কম্বোডিয়ায় এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে মাটির তলায় লুকিয়ে আছে অগুন্তি বিস্ফোরক। কম্বোডিয়ার কারাটি প্রদেশ তেমনই এক জায়গা। সেখানেই কুইন কোসামাক হাইস্কুলের মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ হাজারের ওপর গ্রেনেড। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা