লকডাউনের শহরে পুলিশের পোশাকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মৃত ১৬
বন্দুকবাজ পুলিশের পোশাকে হাজির হয় স্থানীয় সময় মধ্যরাতে। যে গাড়িতে সে এসেছিল সে গাড়িকেও হুবহু পুলিশের গাড়ির চেহারা দিয়েছিল। ফলে মানুষ তাকে সন্দেহ করেনি।
করোনা চেন ভাঙতে শুধু ভারত বলেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই লকডাউন চলছে। লকডাউন চলছে কানাডাতেও। সেই লকডাউনের মধ্যেই কানাডার ছোট্ট শহর পোর্টাপিক-এ এক বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ। যাঁরা কার্যত লকডাউনের জেরে গৃহবন্দি হয়ে ছিলেন।
পুলিশ জানাচ্ছে ওই বন্দুকবাজ পুলিশের পোশাকে হাজির হয় স্থানীয় সময় মধ্যরাতে। যে গাড়িতে সে এসেছিল সে গাড়িকেও হুবহু পুলিশের গাড়ির চেহারা দিয়েছিল। ফলে মানুষ তাকে সন্দেহ করেনি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগায় সেই বেপরোয়া বন্দুকবাজ।
পুলিশ জানাচ্ছে, এলাকায় ঢুকে সে স্থানীয় একটি আবাসনকে মূলত টার্গেট করে। ফলে ওই আবাসনের বিভিন্ন জায়গায় সেখানকার বাসিন্দাদের মৃতদেহ পায় পুলিশ। এছাড়াও আশপাশে কিছু মানুষের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কয়েকটি বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয় ওই বন্দুকবাজ।
পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় ঠিকই কিন্তু তার মধ্যেই ১৬ জনের মৃত্যু হয় বন্দুকবাজের গুলিতে। পুলিশ প্রথমে জানায় ওই বন্দুকবাজকে তারা পাকড়াও করতে সমর্থ হয়েছে। পরে জানানো হয় ওই বন্দুকবাজের মৃত্যু হয়েছে। যাকে পুলিশ পাকড়াও করেছিল বলে জানিয়েছিল তার পরে কীভাবে তার মৃত্যু হল তা অবশ্য পরিস্কার করেনি পুলিশ।
ওই বন্দুকবাজের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। ৫১ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তির নাম গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান। তবে কেন সে এমন কাণ্ড ঘটাল তা এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। পুলিশ আপাতত স্থানীয় সকলকেই বাড়িতে তালা বন্ধ করে থাকতে অনুরোধ করেছে।
এদিকে এমন ঘটনা কানাডা দেখেনি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের ধারণা এটা কোনও জঙ্গি হামলা নয়। কিন্তু কোন ব্যক্তিগত কারণে ওই ব্যক্তি এমন ঘটাল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ যাঁদের যে হত্যা করা হয়েছে তাদের পরিবার জানিয়েছে গ্যাব্রিয়েলকে তাঁরা চিনতেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা