গোরস্থানে সমাধির পর স্থাপিত মূর্তির মুণ্ড ফিরে এল প্রায় ৩০ বছর পর
প্রায় ৩০ বছর আগে এক গোরস্থানের মধ্যে স্থাপিত মূর্তির মুণ্ড গিয়েছিল উধাও হয়ে। সেই মুণ্ড প্রায় ৩০ বছর পর আবার ফিরে এল।
গোরস্থানে মৃতদের সমাধিস্থ করার পর তার ওপরটা পাথর বা সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে দেন অনেকে। সেখানে মৃতের নাম, জন্মকাল সবই লেখা থাকে। পরিবারের লোকজন সেখানে বিভিন্ন সময় এসে ফুল দিয়ে যান। তাঁকে স্মরণ করে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান।
এমনটাই হয়েছিল ১৫ বছরের মেয়েটার ক্ষেত্রে। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই মারা যায় সে। সেটা ছিল ১৯০০ সাল। জেনি স্টিভস নামে ওই কিশোরীর মা তার স্মৃতিতে ইতালিয়ান মার্বেল দিয়ে তার সমাধির ওপর তার একটি মূর্তি তৈরি করে দেন।
কানাডার হিলসবরোর ওই গোরস্থানে মূর্তিটি স্থাপিত হয় ১৯৩০ সালে। গোরস্থানের যে অংশে সেটি স্থাপিত হয় সেই অংশটি স্টিভস পরিবারের নিজস্ব জায়গা ছিল। গোরস্থানের ওই অংশটি তাদের কেনা ছিল।
মূর্তিটি স্থাপিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে ওই এলাকায় একটা গুজব রটতে শুরু করে। রটে যায় যে গোরস্থানে স্থাপিত ওই মৃত কিশোরীর মূর্তিটি ভৌতিক। সে নাকি লাল চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকে। এমন নানা রটনা রটতে থাকে মূর্তিটিকে নিয়ে।
১৯৯০ সালের পর এক সময় পরিবারের লোকজন দেখেন মূর্তির মুণ্ডটা নেই। রাতারাতি তা উধাও হয়ে গেছে। পুলিশে অভিযোগ জানায় পরিবার। পুলিশ খোঁজ করলেও কে বা কারা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।
কিছুদিন আগে একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে আঁতকে ওঠেন পরিবারের লোকজন। পোস্টে দেওয়া ছবিতে দেখা যায় মূর্তিটির পায়ের কাছে রাখা রয়েছে মূর্তির সেই হারিয়ে যাওয়া মুণ্ড।
এরপর ওই গোরস্থানের তরফ থেকে তাঁদের ওই ইতালিয়ান মার্বেলে তৈরি মুণ্ডটি ফিরিয়েও দেওয়া হয়। মুণ্ডটি ফের মূর্তিতে লাগানো হবে বলেও পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।
সবই হল শুধু এটা অজানাই রয়ে গেল যে গত প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই মূর্তির মাথা কার কাছে রাখা ছিল? কেনই বা তা ফের মূর্তির পায়ের কাছে রেখে যাওয়া হল? সে রহস্যের কিনারা হল না।