এই হরিণদের গাড়ি চাটতে দেবেন না, প্রশাসনের কড়া নিদান
এই হরিণরা গাড়ি চাটার চেষ্টা করতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। তাদের গাড়ি চাটতে দেওয়া যাবেনা। প্রশাসনিক এই নির্দেশের পিছনে এক বিশেষ কারণ রয়েছে।
হরিণরা এসে গাড়িই বা চাটবে কেন! গাড়ি তারা পাবেই বা কোথায়! গাড়ি পেতে গেলে তাদের হাইওয়েতে আসতে হবে। আর তা তারা করেই থাকে। একটাই লক্ষ্য কোনওভাবে যদি শীতের সময় গাড়ি চেটে দেওয়া যায়। সে যে কারও গাড়িই হোক না কেন। কোনও ক্ষতি করেনা তারা। কেবল গাড়িটা চেটে চলে যায়। তাতে প্রশাসনের আপত্তি কেন? এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ।
শীতের দেশে তুষারপাত থেকে রাস্তাকে পরিস্কার রাখতে নুন ছড়ানো হয়। যাতে বরফ দ্রুত গলে যায়। রাস্তা পরিস্কার হয়ে যায় গাড়ি চলাচলের জন্য।
আমেরিকান হরিণ বা মুজদের ওই নুন হল লক্ষ্য। রাস্তায় ছড়ানো নুন গাড়ির গায়েও লেগে থাকে। সেই নুন পেলেই তারা চেটে খাওয়ার চেষ্টা করে।
শীতের দিনে তারা নুন খেতে এতটাই পছন্দ করে। প্রশাসনের তাদের নুন খাওয়া নিয়ে কোনও আপত্তি না থাকলেও প্রশাসনের চিন্তা অন্য। তাই তারা হাইওয়েতে গাড়ি থামাতেই বারণ করেছে।
যাতে কোনও মুজ এসে দাঁড়ানো গাড়ির গা চেটে যেতে না পারে। গাড়ি দ্রুত গতিতে বেরিয়ে গেলে তো আর সে সুযোগ তারা পাবেনা। তাই কানাডার হাইওয়েতে গাড়ি থামাতে মানা করা হয়েছে চালকদের।
প্রশাসনের দাবি, একবার যদি এই আমেরিকান হরিণ বা মুজরা জেনে যায় যে হাইওয়েতে এলে নুন সহজেই পাওয়া যায়, তাহলে তারা হাইওয়েতে আসতেই থাকবে।
আর তখনই দ্রুত গতির গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে মারা যাবে। মুজদের এমন পরিণতি থেকে রক্ষা করতেই গাড়ি চালকদের হাইওয়েতে গাড়ি থামাতে মানা করেছে প্রশাসন। নুনের বিকল্প কিছু ওই মুজদের দেওয়া নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।