২০০ বছর আগে হারানো জাহাজ ফিরে এল সমুদ্রতীরে
সমুদ্রের ধারে বালুকাবেলা। বালুকাবেলার গায়ে সমুদ্রের অগভীর স্থানে ভাসছিল সে। আপাতত দেখতে আসা মানুষকে একটি কাজ থেকে রোখাই প্রশাসনের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা।
সমুদ্র নাকি কিছু নেয় না। কখনও না কখনও ফিরিয়ে দেয়। এমন এক প্রবাদ রয়েছে। সেটাই বোধহয় আরও একবার সত্যি হল। কাঠটা ঠিক কিসের তা এখনও বোঝা যাচ্ছেনা। ওক হতে পারে, আবার বিচও হতে পারে। আবার অন্যকোনও শক্ত কাঠের তৈরিও হতে পারে। তবে জাহাজটি যে অতিকায় ছিল তা বিশেষজ্ঞেরা তার ভাসমান চেহারা দেখেই বুঝতে পেরেছেন।
জাহাজটি যে পুরো ফেরেনি তাও তাঁদের কাছে পরিস্কার। তাঁদের দেখে যা মনে হচ্ছে তাতে জাহাজটি ২ টুকরো হয়ে ভেঙে গিয়েছিল। তারই একটা অতিকায় অংশ এখানে ভেসে এসেছে।
আপাতত ভাসমান ওই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের একদম ধারেই ভাসছে। তাকে সন্তর্পণে তোলাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আরও সমস্যা হল এই জাহাজ ভেসে আসার খবর পেয়ে অনেকেই ছুটে আসছেন জাহাজ দেখতে। তাঁরা যেন জলে নেমে জাহাজের কোনও অংশ ভেঙে না নিয়ে যেতে পারেন সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, এ জাহাজ জলে ডুবেছিল ২০০ বছরেরও আগে। তার চেহারা দেখে মোটামুটি তেমনই ধারনা তাঁদের। তবে আরও ভাল করে পরীক্ষা করতে পারলে বয়সটা পরিস্কার করে বোঝা যাবে।
একটুও অংশ না ভেঙে ওই জাহাজের অংশকে জল থেকে তুলে আনার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের কেপ রে-র জলে ভাসছে ওই জাহাজ। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন এ জাহাজ ইউরোপের কোনও দেশ থেকে রওনা দিয়েছিল।