প্রয়াত বাবার ঘর গোছাতে গিয়ে পুলিশ ডাকলেন মেয়ে
বাবার প্রয়াণ তাঁর মনকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছিল। তিনি ঠিক করেন প্রয়াত বাবার ঘরটা গুছিয়ে রাখবেন। ঘর গোছাতে গিয়ে কিন্তু পুলিশে খবর দিতে বাধ্য হলেন মেয়ে।
বাবার প্রয়াণ সন্তানের জন্য অবশ্যই যন্ত্রণার। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাবার প্রয়াণে মেয়ের মন ছিল ভারাক্রান্ত। নিজেকে এই শোকের আবহ থেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বাবার ফেলে যাওয়া অগোছালো ঘরটা গুছিয়ে রাখবেন বলে স্থির করেন মেয়ে। সেইমত বাবার ঘরটা গোছাতেও শুরু করেন।
বাবার একটি বাক্স ছিল। যা তাঁর কাছে দীর্ঘদিন ধরে ছিল। বাড়ি বদল হয়েছে। কিন্তু মেয়ে জানতেন বাবা ওই বাক্স কখনও হাতছাড়া করেননি। সেই বাক্সটিও ঘর গোছানোর সময় গোছানোর চেষ্টা করেন মেয়ে।
কিন্তু বাক্স খুলে তিনি যা দেখেন তা তিনি ৩০ বছর আগে একবার বাবার কাছে দেখেছিলেন। সেই সময় তাঁর ঠাকুরদার কাছ থেকে এ জিনিসটি তাঁর বাবা নিয়ে এসেছিলেন। যা তখন বাড়ির সকলে ফেলেও দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি। নিজের কাছে সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন।
৩০ বছর পর বাবার সেই বাক্সের মধ্যে সেই গ্রেনেডটা দেখতে পান মেয়ে। তিনি বুঝতে পারছিলেননা গ্রেনেডটি কি অবস্থায় আছে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে পরীক্ষা করে দেখার পর কানাডিয়ান আর্মড ফোর্সকে খবর দেয়। সেনা আধিকারিকরা হাজির হয়ে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করে দেখার পর ওই মহিলাকে জানান ওই গ্রেনেডটি তখনও সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ ফাটতেই পারে।
এতদিন পুরনো একটি গ্রেনেড এখনও সক্রিয় এটা সেনা আধিকারিকদেরও অবাক করেছে। তাঁরা সেটি সঠিক পদ্ধতি মেনে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার কিউবেক শহরে। এ খবর বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।