চিংড়ির গায়ে পেপসির ট্যাটু
এমন অবাক করা কাণ্ডে মৎস্যজীবীর বিস্ময়ের ঘোর যেন কিছুতেই কাটছিল না। কি করে এমনটা সম্ভব তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
পেপসি, কোকের মতো ঠান্ডা পানীয়ের গরমকালে গলা ভেজাতে জুড়ি মেলা ভার। তাই বোধহয় লোভে পড়ে জলজগতের গলদা চিংড়ি পর্যন্ত বোতল সুদ্ধ পেপসি চেখে দেখার লোভ সামলাতে পারেনি।
কানাডার নিউ ব্রুন্সউইকের গ্র্যান্ড মানান অঞ্চলে স্থানীয় এক মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ল এমন অদ্ভুতদর্শন গলদা চিংড়ি। যার দাঁড়ার গায়ে পাওয়া গেছে পেপসির ক্যানের নীল-লাল রঙের ছাপ।
এমন অবাক করা কাণ্ডে মৎস্যজীবীর বিস্ময়ের ঘোর যেন কিছুতেই কাটছিল না। কি করে এমনটা সম্ভব তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত সমুদ্র দূষণ এর জন্য দায়ী। সমুদ্রে ফেলা পেপসির বোতলের রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে ক্যানের রঙ ওই চিংড়ির দাঁড়ায় ছাপ হয়ে থেকে গেছে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান।
সমুদ্রে ফেলা পেপসির বোতলে বেড়ে ওঠার দরুন এই বিপত্তি বলেও মনে করছেন কিছু বিজ্ঞানী। তবে কারণ যাই হোক, পেপসি ট্যাটুওয়ালা গলদা চিংড়ির বাজারে চাহিদা ছিল ব্যাপক। জালে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রঙিন চিংড়িটি বিক্রি হয়ে যায়।