এই মুরগিরা পড়াশোনা জানে, তুখোড় ইংরাজি, অঙ্কতে
মুরগির ডিম খাওয়া ভাল। তাদের মাংসও সুস্বাদু। কিন্তু কোনও কোনও মুরগি যে কেবল ডিম, মাংস নয়, তার দক্ষতার হাত ধরে অনন্য নজির গড়তেও পারে তা এবার দেখা গেল।
মুরগি ডিম পাড়ে, ঘুরে বেড়ায়, খাবার খুঁটে খায়। মুরগির ডাকে অনেকের ভোর হয়। এই অতিপরিচিত মানুষের সঙ্গে মিশে থাকা প্রাণিটি আর যাই হোক বুদ্ধিমান এমনটা কারও জানা ছিলনা। কিন্তু বুদ্ধিমান মুরগিও হয়। যাকে ঠিকমত পড়াশোনা করাতে পারলে তার ইংরাজি ও অঙ্কে রীতিমত বুৎপত্তিও তৈরি হতে পারে!
শুনতে অবাক করা হলেও এটাই হয়েছে। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গ্যাব্রিওলা দ্বীপে বসবাসকারী এক পশু চিকিৎসক মহিলা তাঁর বাড়িতে ৫টি মুরগি নিয়ে আসেন। মুরগি ৫টিকে বাড়িতে আনার কারণ ছিল ডিম পাওয়া।
মুরগিরা বাড়িতেই ডিম পাড়বে। যা তিনি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু তাদের ডিম খাওয়া ছাড়াও পোষা মুরগিগুলিকে মহিলা পড়াতে শুরু করেন।
ইংরাজি হরফ এবং সংখ্যা চেনাতে শুরু করেন ওই ৫ পোষ্যকে। তারাও বাধ্য ছাত্রীর মত পড়া রপ্ত করায় মন দেয়। কম বেশি হলেও ৫ জনই ইংরাজি হরফ এবং সংখ্যা চেনায় দ্রুত তুখোড় হয়ে ওঠে।
ওই পশু চিকিৎসক তাদের পরীক্ষা করার জন্য তাদের যে অক্ষরগুলি চেনানো হয়েছিল এবং যে সংখ্যাগুলি চেনানো হয়েছিল, সেগুলি বাদেও কিছু সংখ্যা ও ইংরাজি হরফ একসঙ্গে মিশিয়ে তাদের চেনা ইংরাজি হরফ এবং সংখ্যা খুঁজে আনতে বলেন। আর তা সঠিকভাবে করে দেখায় তারা।
পশু চিকিৎসক বুঝতে পারেন তাঁর পোষা মুরগিরা হেলাফেলার মত নয়। তাদের বিশ্বসেরা করার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেন তিনি।
৫ মুরগিরই পরীক্ষা হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল করে একটি মুরগি। তাকেই সেরার সম্মান প্রদান করা হয়। এমন শিক্ষিত মুরগি পেয়ে কার্যতই খুশি ওই মহিলা।