ঠেকায় না পড়লে সাধারণত হাসপাতালমুখো হতে চান না কেউই। তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের মিন শেং জেনারেল হাসপাতালের গল্পটা একটু আলাদা। এই হাসপাতালে লোকজন একটু অসুস্থ হলেই চিকিৎসার জন্য আসছেন ছুটে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হয়তো অসুস্থ নন সত্যিকারের। মিছিমিছি অসুস্থ হয়ে পড়ার ভান করছেন। একটু বেশিই রোগীদের ভিড় লেগে আছে হাসপাতালটিতে। চিকিৎসকেরাও মাঝেমাঝে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন রোগী দেখতে দেখতে। তবে সুস্থ হতে আসা মানুষগুলোকে কিন্তু হাসিমুখে সেবা করে চলেছেন একজন। যাঁকে প্রায় সব রোগী খুব পছন্দ করেন। তাঁকে দেখতেই তো এত হুজ্জুতি করে তাঁদের হাসপাতালে ছুটে আসা। তিনি এশিয়া তথা বিশ্বের ‘হটেস্ট’ সেবিকা বলে কথা। তাঁকে একঝলক চোখের দেখা দেখতে কেই বা না চাইবে! অধিকাংশ পুরুষ রোগীদের তাই আবদার, ব্যক্তিগতভাবে সেবিকা যদি রাখতে হয়, তাহলে যেন তাঁদের সেবাশুশ্রূষার ভার নেন ক্যারিনা লিন। ইন্সটাগ্রামের পাতায় যাঁর একের পর এক উষ্ণ সেলফি, ফোটোশ্যুট ঝড় তুলে দিয়েছে নেটিজেনদের হৃদয়ে।
যতক্ষণ নার্সের পোশাক তিনি পড়ে থাকেন, ততক্ষণ নিজের কর্তব্যে গাফিলতি রাখেন না ক্যারিনা। কিন্তু অবসর সময়ে সেবিকার আপাদমস্তক ঢাকা পোশাকের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। খোলামেলা পোশাকে নিজের প্রচুর ছবি তোলেন। সেইসব ছবিতে ক্যারিনার টানটান শরীর ও রূপের গ্ল্যামার এক ঝলক দেখতে হা পিত্যেশ করে বসে থাকেন দুনিয়ার আশিকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা পিছনে ফেলে দিয়েছে অনেক নামীদামী তারকাকেও।
অবশ্য একজন সেবিকা হয়ে বোল্ড ফোটোশুটের জন্য ক্যারিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক সমালোচনাও। একসময় গভীর হতাশায় নিজেকে কিছুদিনের জন্য তিনি গুটিয়ে নেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। কিন্তু, মায়ের অনুরোধে ফের আগুন ঝরা বিকিনি ফোটোশ্যুট দিয়ে ফেরেন ইন্সটাগ্রামে। বিখ্যাত হওয়া বা লাইমলাইটে থাকা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। নিজেকে খুশি রাখতেই তিনি অন্য অবতারে বারবার নিজেকে মেলে ধরতে ভালোবাসেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বের সর্বাধিক আবেদনময়ী এই নার্স।
(ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম)