ভক্তিরসে ভারত মজিয়ে বিখ্যাত ২১ বছরের জার্মান তরুণী
জার্মান তরুণীর কণ্ঠে শ্রীকৃষ্ণ ভজন শুনে বিহ্বল প্রধানমন্ত্রী। ২১ বছরের এই তরুণীর কণ্ঠে ভারতীয় ভক্তি সঙ্গীত এক অন্যই মাত্রা পেয়েছে।
জার্মান জাতিটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও লেখনী নিয়ে চিরকালই কৌতূহলী। সংস্কৃত ভাষা নিয়ে ভারতের বাইরে যদি সবচেয়ে বেশি কোথাও চর্চা হয়ে থাকে তবে তা নিঃসন্দেহে জার্মানি। এমনকি ভারতের প্রাচীন সংস্কৃত রচনাকে কাজেও লাগিয়েছে জার্মানি। সেসব রচনার কদর বুঝেছে তারা।
যেমন ভারতীয় ভক্তি সঙ্গীতের মধুর রসে মজেছেন জার্মানির ২১ বছরের তরুণী কাসান্দ্রা মায়ে স্পিটম্যান। কাসান্দ্রা ভারতীয় ভক্তিমূলক গান গেয়ে সকলকে মজিয়ে রাখেন। তিনি নিজে গান। আবার গান লেখেনও।
তবে ভারতীয় ভক্তিমূলক গানের প্রতি তাঁর টান অনেকদিন। তাঁর কণ্ঠে শ্রীকৃষ্ণ ভজন ‘অচ্যুতম কেশবম’ বসে শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সে কথা তাঁর ১০৫ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানেও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
মাত্র ২১ বছর বয়সেই কাসান্দ্রা বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দি, মালয়ালম, তামিল, কন্নড়, অসমীয়া এবং উর্দুতে গান গেয়ে সকলকে অভিভূত করে ফেলেছেন। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সময় তাঁর সুরেলা কণ্ঠে রাম আয়েঙ্গে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গান্ধী জয়ন্তীতে কাসান্দ্রা গেয়েছেন ‘বৈষ্ণব জন তো’।
৫ বছর বয়স থেকে ভারতীয় সঙ্গীত চর্চা শুরু হয় কাসান্দ্রার। ২১ বছর বয়সে এসে সেই তালিমের হাত ধরে তিনি এখন ভারতীয় ভক্তি সঙ্গীতের এক অন্যতম কণ্ঠ।
যাঁর গলায় গান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বসে শুনেছেন। ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করে কাসান্দ্রার গলায় ‘জগৎ জন পালম’ রীতিমত বিখ্যাত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা