শেষ হয়েও হইল না শেষ। সিবিএসই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এখন সেই অবস্থা। খুব শিগগির আরও একবার দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের দিতে হবে অঙ্কের পরীক্ষা। আর দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরকেও ফের বসতে হবে অর্থনীতির পরীক্ষায়। দুবার করে ফের একই বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হবে। মনের ওপর বাড়তি চাপ। কিন্তু বোর্ডের সিদ্ধান্তের সামনে ছাত্রছাত্রীদের কিছুই বলার থাকতে পারেনা। তাই কিছু করারও নেই। তবে তাদের দোষ কোথায়? আখেরে এতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাতে পাঁচে না থাকা পড়ুয়াদেরকেই। যার মূলে সাম্প্রতিক প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারির ঘটনা। সেই কেলেঙ্কারি কার্যত স্বীকৃত হল সিবিএসই বোর্ড কর্তাদের ঘোষণায়। খুব তাড়াতাড়ি ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন বোর্ড অধিকর্তারা। বোর্ডের ফের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণার পরেই বৃহস্পতিবার দিল্লির যন্তরমন্তরে সুবিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় সিবিএসই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, পরীক্ষা নিলে সব বিষয়েরই নিতে হবে।
গত ২৬ মার্চ, সোমবার ছিল চলতি বছরের দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থনীতির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার খবর পায় পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে। নড়েচড়ে বসে বোর্ড ও পুলিশ প্রশাসন। প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারির কথা সামনে আসতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে একহাত নেয় বিরোধী দলগুলি। ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাণ্ডার হদিশ পায়। দিল্লির একটি কোচিং সেন্টারের মালিক এবং ২টি স্কুল গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। অভিযুক্তদের খোঁজ করা হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন যারা প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত তাদের কড়া শাস্তি হবে।