SciTech

২ রঙিন মাছে অ্যাকোয়ারিয়ামের দুনিয়ায় যুগান্তকারী সৃষ্টি

বাড়িতে মাছ পুষতে ভালবাসেন এমন মানুষের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়ামও থাকে। ২টি রঙিন মাছে যুগান্তকারী সৃষ্টি তাঁদের খুশি করবে।

সমুদ্রের তলদেশে ডুব দিতে না পারলেও নানা পত্রপত্রিকার ছবি এবং অবশ্যই টিভির কৃপায় সমুদ্রের তলদেশ কেমন সে সম্বন্ধে মানুষের একটা প্রচ্ছন্ন ধারনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর তার হাত ধরেই তাঁরা জেনে গেছেন সমুদ্রের তলায় ডুব দিলে সেখানে রয়েছে অগুন্তি রঙিন মাছের দুনিয়া।

ঝাঁকে ঝাঁকে রঙিন মাছ সেখানে নিজের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নানা বিচিত্র সব রংয়ের বাহার, নানা তাদের চেহারা। এইসব সামুদ্রিক রঙিন মাছ আবার অ্যাকোয়ারিয়ামের শোভা বাড়ায়।


অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে খেলে বেড়ানো মাছেরা মন এবং চোখ দুই ভরিয়ে দেয়। অ্যাকোয়ারিয়ামে থেকে তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, সেখানেই দিব্যি বেঁচে থাকার মত আবার সব মাছ হয়না।

রঙিন মাছের মধ্যে এমন কিছু মাছ রয়েছে যারা অ্যাকোয়ারিয়ামেও দিব্যি মানিয়ে নিয়ে বেঁচে থাকে। সেখানে দেওয়া খাবারে তাদের কোনও অরুচি হয়না।


এমনই ২টি অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য জনপ্রিয় মাছ হল আজুরি ডামসেল এবং অর্নেট গোবি। এই ২ বাহারি মাছের দাম বেশ চড়া। একটি মাছের দামই কমবেশি পড়ে যায় সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এবার এই ২টি রঙিন মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া অ্যাকোয়ারিয়াম বা কোনও জলের ঘেরাটোপেই করতে পারার মত উপায় নিশ্চিত করল সেন্ট্রাল মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইন্সটিটিউট। ফলে তাদের প্রজননের জন্য সমুদ্রের জল বা সেখানকার পরিবেশের আর প্রয়োজন নেই।

নিশ্চিন্তে আজুরি ডামসেল এবং অর্নেট গোবি-র প্রজনন ঘরে বসেই করা যাবে। ফলে এই ২ রঙিন মাছের জন্য আর সমুদ্রের ওপর ভরসা করতে হবেনা। বরং এদের ঘরেই প্রজনন করা গেলে তাদের উৎপাদনও বাড়বে। মাছ পোষায় উৎসাহীদের কাছে এই মাছ অনেকটা সহজলভ্যও হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button