এ দেশে একটি চন্দ্র মন্দির রয়েছে, যেখানে চাঁদের পুজো হয়
চাঁদে ভারতের পদার্পণ গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। সেই চাঁদ কিন্তু এ দেশে বহুকাল ধরে দেবতা হিসাবেও পূজিত হয়ে এসেছেন। এ দেশেই রয়েছে একটি চন্দ্র মন্দিরও।
ভারতের চাঁদে পা রাখা অবশ্যই মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অন্যতম অধ্যায়। ভারতের জন্য এ এক সোনালি ইতিহাস। চাঁদ কিন্তু ভারতে দেবতা রূপে পূজিত হয়ে আসছেন বহুদিন ধরে। চাঁদকে ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করা প্রাচীন রীতির অংশ।
সেই চাঁদকে ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করার জন্য এ দেশে রয়েছে একটি চন্দ্র মন্দিরও। চন্দ্র দেবতাকে মাথায় রেখে এ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে।
তামিলনাড়ুর কুম্বকোনাম-এর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রাম থিঙ্গালুর। এই থিঙ্গালুর গ্রামেই রয়েছে চাঁদিরানার মন্দির। যাকে চন্দ্র মন্দির বলা হয়। এই মন্দিরে পূজিত হন সোম বা চন্দ্র। চন্দ্র দেবতার বিগ্রহ রয়েছে এই মন্দিরে। সেই বিগ্রহের নিয়মিত পুজো হয়।
চাঁদিরানার মন্দির চাঁদের মন্দির হিসাবে পরিচিত হলেও এখানে অন্যতম প্রধান বিগ্রহ ভগবান শিবের। তাই কৈলাসনাথের মন্দিরও বলা হয় এই মন্দিরকে।
এই মন্দিরের স্থাপত্য বিশেষভাবে নজর কাড়ে। মনে করা হয় চোল রাজবংশের রাজত্বের সময় এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মন্দিরের স্থাপত্যেও তার ছাপ রয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের অন্য মন্দিরগুলির মত এ মন্দিরেও নানা রংয়ের ব্যবহার নজর কাড়ে। গ্রামের মাঝখান দিয়ে পিচ ঢালা রাস্তা হয়ে, দুধারে সবুজ প্রকৃতির বুক চিরে এই মন্দিরে পৌঁছতে হয়।
ভারতে বহু মন্দির রয়েছে। তবে এ মন্দির আলাদা তার চন্দ্র দেবতার পুজোর জন্য। একদিকে যখন ভারত চাঁদের বুকে নেমে গবেষণা চালাচ্ছে তখন এই চন্দ্র মন্দিরে চাঁদের পুজোও চলছে সনাতন রীতি মেনে। এমনকি যাতে যানটি ঠিকঠাক চাঁদের বুকে নামতে পারে সেজন্যও এ মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।