এখনও শেষ দফার ভোট বাকি। রবিবার ভোটগ্রহণ হতে চলেছে দেশের ৫৯টি কেন্দ্রে। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করে ঘর গোছানোর কাজ। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে আগেই দেখা করেছিলেন তেলেগু দেশম পার্টির নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। শনিবার সকালে তিনি দেখা করলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ২ জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সেখান থেকে চন্দ্রবাবু চলে যান মায়াবতী ও অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করতে। ফলে রাজনৈতিক মহলের কাছে পরিস্কার যে বিজেপি বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এরমধ্যেই আবার ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জনতা দল সেকুলার নেতা এইচডি দেবেগৌড়া পরিস্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন। শনিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করার পর চন্দ্রবাবু নাইডু এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ও লোকতান্ত্রিক জনতা দল নেতা শরদ যাদবের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলেন। ভোটের ফল প্রকাশ আগামী ২৩ মে। সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই চন্দ্রবাবু নাইডু যে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাদের তলায় আনতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন তা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
কংগ্রেসও ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা অধিকাংশ জায়গায় একা লড়লেও বিজেপিকে সরাতে তারা প্রস্তুত। তাদের দলের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়েও কোনও লোভ নেই বলেই পরিস্কার করে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। বরং তাঁদের যে একমাত্র লক্ষ্য এখন বিজেপিকে গদিচ্যুত করা তাও পরিস্কার করে দেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। যদিও তাঁর সেই মন্তব্য থেকে কিছুটা সরে পরে গুলাম নবি আজাদ বলেন, তাঁর দল দেশের সবচেয়ে পুরনো দল। ফলে ৫ বছরের স্থায়ী সরকার গড়তে তাঁর দল প্রধানমন্ত্রীত্ব পদ চাইবে না এমনও নয়। তবে বিজেপিকে সরানো যে তাঁদের প্রাথমিক অবস্থান তা পরিস্কার করেন আজাদ। ফলে এবার কংগ্রেসকেও এক ছাদের তলায় চাইছেন চন্দ্রবাবু বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা