চন্দ্রযান-২ মিশনের উৎক্ষেপণের দিকে গোটা ভারত তাকিয়েছিল। চেয়েছিলেন বিদেশি বিজ্ঞানীরাও। গত রবিবার সারা দিনটা এই নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরই চাঁদে পাড়ি দেবে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযান। মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের এই নতুন মাইলফলকের সাফল্যের আশায় সকলে যখন সময় গুনছিলেন তখনই মধ্যরাতে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার ১ ঘণ্টা আগে আচমকা জানতে পারা যায় চন্দ্রাভিযান আপাতত স্থগিত।
কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা শেষ মুহুর্তে ধরা পড়ায় স্থগিত হয় চন্দ্রযান-২ মিশন। জানা যায় যানটির জ্বালানি ট্যাঙ্কে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারপরই প্রশ্ন ওঠে এই সমস্যা মিটিয়ে কবে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান? সে প্রশ্নের উত্তর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি ইসরো। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরোর এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন চন্দ্রযান হয়তো আগামী ২০ থেকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে চাঁদের পাড়ি দেবে।
চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগেই যে সমস্যা ধরা পড়েছিল তা মেটানো সম্ভব হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তাই ২০ থেকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে জিএসএলভি-এমকে ৩ চন্দ্রযানটিকে নিয়ে পাড়ি জমাতে পারে। গত সোমবার মধ্যরাতে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগেই থমকে যায় চন্দ্রযান-২ মিশন। এরপর ইসরোর তরফে ট্যুইট করে কেবল জানানো হয়েছিল ওদিনের জন্য চন্দ্রযান-২ স্থগিত করা হল। নতুন দিন পরে জানানো হবে। এর বাইরে এখনও ইসরো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি।
চন্দ্রযানকে নিয়ে যে রকেটের আকাশে পাড়ি জমানোর কথা তার নামকরণ হয়েছে বিখ্যাত দক্ষিণী সিনেমা বাহুবলী-র নামে। বিশাল ওজনের কারণেই এই নাম বেছে নেন বিজ্ঞানীরা। ৬৪০ টন ওজনের রকেটটি উড়ে যাওয়ার কথা চন্দ্রযানকে নিয়ে। তারপর যেমন হয় নির্দিষ্ট কক্ষে মূল যানকে ছেড়ে দেওয়ার পরই জিএসএলভি-এমকে ৩ ওরফে বাহুবলীর কাজ শেষ। এরপর সেপ্টেম্বরে ওই চন্দ্রযান চাঁদের দক্ষিণমেরুতে গিয়ে নামার কথা ছিল।
সেখানে মাটি খুঁড়ে খনিজের সন্ধান করার কথা চন্দ্রযানের। যা চাঁদে প্রাণের উপস্থিতি নিয়েও তথ্য দেবে। সবচেয়ে বড় কথা চাঁদের যেখানে যানটির নামার কথা সেখানে সূর্যের আলো প্রায় পৌঁছয়না। এখানে এর আগে কখনও কোনও দেশের যান নামেনি। তাই ভারতের পাওয়া তথ্য সারা বিশ্বের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা