ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন বিক্রমের সঙ্গে তাঁদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যখন বিক্রম চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু তারপর বিক্রমের কী হল? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। বলা হচ্ছিল বিক্রমকে যদি নামার জন্য ইসরো থেকে কন্ট্রোল তখন নাও করা হয় তাহলেও সে নিজের সুবিধামত জায়গা খুঁজে নেমে যাবে। এই পরিমাণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তার ছিল। তাহলে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব হল না কেন? এখানেই ক্র্যাশ ল্যান্ডিংয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। যা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরাও।
বিক্রম যখন নামছিল তখন ব্রেক কষার নিয়ম মেনেই নামছিল। একদম ঠিকঠাক। কিন্তু চাঁদের অনেকটা কাছে পৌঁছে একবার দেখা যায় বিক্রম তার নির্দিষ্ট রাস্তা ছেড়ে পাশে সরে যায়। কিন্তু দ্রুত আবার নিজের জায়গায় ফেরত আসে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই সময়ে বিক্রম কিছুটা হেলে গিয়েছিল। কিন্তু নিজেকে সামলে নেয়। এরপর নিজের রাস্তায় ফিরেও আসে। কিন্তু এই ফেরত আসার পরই বিক্রমের সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন হতে পারে যেভাবে গতি নিয়ন্ত্রণের কথা ছিল তা ঠিকমত করে উঠতে পারেনি বিক্রম। কোথাও ভুল ত্রুটি হয়। যারফলে সে তার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়নি।
বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া হৃদয় বিদারক হওয়া সত্ত্বেও ইসরোর বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এতে চন্দ্রযান-২ মিশনের ক্ষতি হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। মূল অরবিটার চন্দ্রযান-২ এখনও চাঁদের কক্ষে ঘুরছে। সফলভাবেই ঘুরছে। ২ হাজার ৩৭৯ কেজির অরবিটারটি চাঁদকে আরও ১ বছর প্রদক্ষিণ করতেই থাকবে। আর চাঁদের বিভিন্ন ছবি ইসরোকে পাঠাবে। তবে আপাতত অরবিটারের ওপর অন্য ভরসা রাখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আশা অরবিটারই হারিয়ে যাওয়া বিক্রমের ছবি পাঠাবে তাঁদের কাছে। যা দেখে তাঁরা পরিস্কার হবেন বিক্রমের পরিস্থিতিটা ঠিক কী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা