শনিবার মধ্যরাতে চাঁদের বুকে পা রাখার ঠিক আগেই ভারতে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। তীরে এসে তরী ডোবার কষ্ট ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সারা ভারতবাসী ভোগ করেছেন। প্রশ্ন ছিল একটাই বিক্রমের সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের নামা তো হল না। কিন্তু বিক্রম গেল কোথায়? শনিবার সারা দিনটা এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে সকলের মনে। ইসরো অবশ্য জানিয়েছিল তারা চন্দ্রযান-২ অরবিটার থেকে বিক্রমের পরিস্থিতির ছবি তোলার চেষ্টা চালাবে। তবে তার জন্য অরবিটারকে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে করতে বিক্রম যেখানে নামার কথা ছিল সেই জায়গায় আসতে হবে। অবশেষে সেই অরবিটার এল এবং জানানও দিল বিক্রমের হাল।
বিক্রম চাঁদের পিঠে উল্টে পড়ে আছে। এমন ছবিই পাঠিয়েছে অরবিটারের অতি শক্তিশালী ক্যামেরা। যা দেখে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ল্যান্ডার চাঁদ স্পর্শ করার পর সেই বিপরীতমুখী অভিঘাতে হয়তো উল্টে যায় সেটি। যে সাদা কালো ছবি পাওয়া গিয়েছে তাতে তাই মনে করছেন তাঁরা। তবে এখনও বিজ্ঞানীদের আশা হয়তো বিক্রমের সঙ্গে ফের যোগাযোগ সম্ভব হবে। তবে কিছু যন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত বিক্রমের খোঁজ মিলেছে এটাই এখন বড় কথা। তাকে যখন দেখতে পাওয়া গিয়েছে তখন বিজ্ঞানীরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন।
গত ২২ জুলাই জিএসএলভি রকেট বাহুবলীতে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-২। তারপর চন্দ্রযান-২ যানটি পৃথিবীর বুকে ৭টি পাক খাওয়ার পর সেটি গত ২০ অগাস্ট চাঁদের কক্ষে ঢুকে পড়ে। তারপর পাক খেতে খেতে সেটি ক্রমশ চাঁদের মাটির কাছে পৌঁছে যায়। চন্দ্রযান-২ থেকে আলাদা হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রম। অবশেষে গত শনিবার মধ্যরাতে চাঁদের বুকে নামার কাজ শুরু করে বিক্রম। ব্রেক কষার কাজ নিয়ম মেনে হলেও প্রায় চাঁদের কাছে পৌঁছে একটু হেলে তার নির্ধারিত পথ থেকে সরে যায় ল্যান্ডার বিক্রম। অবশ্য দ্রুত নিজের রাস্তায় ফিরেও আসে। কিন্তু তারপর থেকেই তার আর খোঁজ ছিলনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা