SciTech

চাঁদের মাটিতে ঘুরছে ভারতের প্রজ্ঞান, দাবি ঘিরে নতুন আশায় ইসরো

চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হয় শেষ মুহুর্তে। কিন্তু সেই ব্যর্থতা কী সত্যিই ব্যর্থতা ছিল? এখন সেই প্রশ্ন নতুন করে উঁকি দিল।

চেন্নাই : চাঁদের মাটি থেকে তখন আর সামান্যই দূরে ছিল ভারতের পাঠানো ল্যান্ডার বিক্রম। যার পেটেই ছিল চাঁদের মাটিতে ঘুরে তথ্য সংগ্রহে যাওয়া রোভার প্রজ্ঞান। কিন্তু চাঁদ থেকে সামান্য দূরে থাকাকালীনই আচমকা হারিয়ে যায় বিক্রম। পরে জানা যায় চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে চুরমার হয়ে গেছে বিক্রম। সব আশা শেষ হয়ে যায়।

ইসরো-র বহুদিনের স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যায়। এখন আবার নতুন করে চন্দ্রযানের উদ্যোগ নিয়েছে ইসরো। আর ঠিক সেই সময়েই শেষ হয়ে যাওয়া মিশনে সাফল্য খুঁজে পেলেন মহাকাশ উৎসাহী শম্নুগ সুব্রহ্মণ্যম। যিনি এর আগে জানিয়েছিলেন বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে চাঁদের মাটিতে।


এবার সুব্রহ্মণ্যম দাবি করলেন বিক্রম চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে ধ্বংস হয়ে গেলেও বেঁচে গেছে তার পেটে থাকা রোভার প্রজ্ঞান। সেটি তার এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে চাঁদের মাটিতে বেশ কয়েক মিটার এগিয়েও গেছে। বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের থেকে বেশ কিছু মিটার দূরে প্রজ্ঞানের দেখা তিনি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন সুব্রহ্মণ্যম। একের পর এক ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন প্রজ্ঞান অক্ষতই রয়েছে। বিক্রম ভেঙে যাওয়ার পরও সেটি চাঁদের মাটিতে ঠিকঠাক নেমেছে।

সুব্রহ্মণ্যম শুধু ট্যুইট করেই এই দাবি করেননি, তাঁর দাবির স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন সেকথা মেনেও নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁর দাবি খতিয়ে দেখা শুরুও হয়েছে। ইসরোর বিশেষজ্ঞেরা প্রজ্ঞানের অস্তিত্ব খুঁজে দেখছেন।


সুব্রহ্মণ্যম-এর এই দাবি কিন্তু ইসরোর সব শেষ হওয়া মিশনেও ফিনিক্স পাখির মত এসে হাজির হয়েছে। ইসরো আবার ভাবতে শুরু করেছে যদি সত্যিই প্রজ্ঞান বেঁচে গিয়ে থাকে! তাহলে কিন্তু ভারতের মিশন সার্থক হবে। নাসার চাঁদের মাটির ছবি পাঠিয়ে সুব্রহ্মণ্যম ইসরোকে জানিয়েছেন সেখানে যে সাদা ফুটকি দেখা যাচ্ছে সেগুলি বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ হতে পারে। আর একটি কালো ফুটকি দেখা যাচ্ছে, যা সম্ভবত প্রজ্ঞান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button