চাঁদকে পাক খাওয়ার ১ বছর পূর্ণ, আরও ৭ বছর পাক খাবে চন্দ্রযান-২
চাঁদের বুকে বিক্রম সফলভাবে নামতে পারেনি। কিন্তু তাকে পৌঁছে দেওয়া চন্দ্রযান-২–এর অরবিটার চাঁদকে নিয়ম মেনেই প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
চেন্নাই : গত বছর চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যান নামাতে তাদের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান মিশন করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে ইসরো যেখানে তার ল্যান্ডার বিক্রমকে নামানো স্থির করে সেখানে আগে কখনও কোনও দেশ যান নামাতে পারেনি। ফলে গোটা বিশ্ব তাকিয়েছিল ভারতের দিকে। চন্দ্রযান-২ গত ২২ জুলাই ২০১৯ সালে উড়ে যায় আকাশের দিকে। যা গত ২০ অগাস্ট চাঁদের কক্ষে প্রতিস্থাপিত হয় একদম নিয়ম মেনে। তারপর থেকে তা চাঁদের কক্ষে পাক খেয়ে চলেছে।
পাক খেতে খেতে চাঁদের কাছে পৌঁছে এই অরবিটার থেকে বেরিয়ে যায় বিক্রম ল্যান্ডার। যা চাঁদের মাটিতে নামার কয়েক মুহুর্ত আগেই ইসরোর সংযোগ থেকে হারিয়ে যায়। পরে জানা যায় তা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে ভেঙে গেছে। সেই মিশন অসফল হলেও চন্দ্রযান-২ কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়নি। কারণ অরবিটার চাঁদকে নিয়ম মেনেই প্রদক্ষিণ চালিয়ে যাচ্ছিল। সেই অরবিটার তার কাজ এই এক বছর পূর্ণ করেও সঠিকভাবেই করে চলেছে।
অরবিটারে রয়েছে ৮টি যন্ত্র। যা সঠিকভাবে কাজ করছে। গত এক বছরে ৪ হাজার ৪০০ বার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে ফেলেছে অরবিটার। ইসরো জানিয়েছে আগামী আরও ৭ বছর এভাবেই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাবে এই অরবিটার। এই ৭ বছর সঠিকভাবে চলার জন্য তার জ্বালানির কোনও অভাব হবে না।
২০০৮ সালে ভারত তাদের প্রথম চন্দ্রাভিযান করে। চাঁদে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-১। সেবার অবশ্য কোনও ল্যান্ডার সঙ্গে যায়নি। চাঁদের কক্ষে প্রতিস্থাপিত হয়ে চাঁদের চারধারে ঘুরতে ঘুরতে তথ্য সংগ্রহই ছিল চন্দ্রযান-১-এর কাজ। যা সফল হয়। চন্দ্রযান-১-এর পাঠানো তথ্য স্পষ্ট করে দেয় চাঁদে জল ছিল। এমনকি ওই মিশন থেকে এই তথ্যও সামনে আসে যে চাঁদের মেরু অঞ্চলে বরফের অস্তিত্ব রয়েছে। এই তথ্য চাঁদ সম্বন্ধে আরও জানতে প্রভূত উপকারে আসে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা