বাঙালি বিজ্ঞানী অধ্যাপক শিশির কুমার মিত্র দীর্ঘকাল আয়নোস্ফিয়ার ও রেডিওফিজিক্স নিয়ে কাজ করেছেন। তাঁর নামেই নামাঙ্কিত চাঁদের একটি গর্ত বা ক্রেটার। ক্রেটারটির নাম মিত্র। সেই মিত্র ক্রেটারের ছবি এবার খুব কাছ থেকে তুলে পাঠাল চন্দ্রযান-২। ইসরোর তরফে চন্দ্রযান-২ থেকে পাঠানো বেশ কিছু ক্রেটারের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম মিত্র।
চাঁদের কক্ষে প্রবেশের পর এবার চাঁদকে তার কক্ষ ধরে প্রদক্ষিণ করতে করতে একের পর এক ছবি পাঠাচ্ছে চন্দ্রযান-২। ক্রমশ দূরত্বও কমাচ্ছে যানটি। এগিয়ে যাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠের দিকে। গত ২৩ অগাস্ট যানটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। সেখান থেকে চন্দ্রযান-২-এর ম্যাপিং ক্যামেরা-২ কিছু ছবি পাঠায়। তারমধ্যেই ছিল মিত্র-র ছবি।
চন্দ্রযান-২ এবার মূলত পাঠিয়েছে ক্রেটারগুলির ছবি। চাঁদের সারা পৃষ্ঠ জুড়ে অতিকায় গর্ত রয়েছে। কোনওটি বেশি গভীর, কোনওটি কম। সেসব গর্তের নামও রয়েছে। তারই মিত্র, জ্যাকসন, মাচ, কির্কউড, কোরোলেভ সহ বিভিন্ন গর্তের ছবি তুলে পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-২। যা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় কাজে আসবে। এসব ক্রেটারের কোনওটির ব্যাস ১৬৯ কিলোমিটার, কোনটির ৭১ কিলোমিটার, ১০৪ কিলোমিটার। মিত্র ক্রেটারটির ব্যাস ৯২ কিলোমিটার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা