দুপুর তখন সওয়া ১টা। একদম হিসাব মোতাবেক চন্দ্রযান-২ চন্দ্রযান থেকে আলাদা হয়ে গেল ল্যান্ডার বিক্রম। এই বিক্রমই চাঁদের মাটিতে পা রাখবে। তার পেটের মধ্যে রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। যা চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে। খনন চালাবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করবে। কিন্তু সে পরের ব্যাপার। তার আগে আরও বেশ কিছু ধাপ রয়েছে। গত রবিবারই চাঁদের চারপাশে ঘুরতে থাকা চন্দ্রযান-২ যানটি শেষ কক্ষে পৌঁছে যায়। চাঁদের খুব কাছে। ঠিক ছিল সোমবার দুপুরে চন্দ্রযান-২ থেকে বিক্রম আলাদা হয়ে যাবে। তারপরই সে শুরু করবে চাঁদে নামার প্রস্তুতি।
চন্দ্রযান-২ থেকে বিক্রমের আলাদা হওয়াটা ঠিকঠাক করা ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাতে সম্পূর্ণ সফল হলেন তাঁরা। দুপুর সওয়া ১টায় বিক্রম আলাদা হয়ে গেল। বিক্রম এবার চাঁদের মাটিতে নামার প্রস্তুতি শুরু করবে। আর চন্দ্রযান-২ অরবিটার ঘুরতে থাকবে চাঁদের কক্ষে। আগামী ২ দিন কক্ষ থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিক্রম চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে যাবে। তারপর আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টা থেকে আড়াইয়ের মধ্যে চাঁদের মাটিতে নামবে। বিক্রম-এর ঠিকঠাক ল্যান্ড করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তা সফল হলে তারপর বিক্রমের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে প্রজ্ঞান রোভারটি।
গত ২২ জুলাই জিএসএলভি রকেট বাহুবলীতে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ভারতের স্বপ্নের মহাকাশ মিশন চন্দ্রযান-২। তারপর পৃথিবীর কক্ষে পাক খেতে খেতে তা পৃথিবীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকে। চাঁদের কাছে পৌঁছতে থাকে। গত ২০ অগাস্ট পৃথিবীর কক্ষ ছেড়ে তা চাঁদের কক্ষে ঢুকে পড়ে। তারপর চাঁদের কক্ষে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে থাকে। অবশেষে গত রবিবার ১ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-২ চাঁদের সবচেয়ে কাছে পৌঁছয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে চলেছে বিক্রম। যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও দেশ তাদের যান নামাতে পারেনি। মূলত সব দেশের যানই চাঁদের উত্তর মেরুতে নেমেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা