অগ্নিপরীক্ষা দিতে সফলভাবে চাঁদে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩
ইতিহাস লেখা হতে হতেও হয়নি গতবার। এবার ভুলত্রুটি মুছে ফের চাঁদের চলল চন্দ্রযান। গন্তব্যে পৌঁছতে লেগে যাবে ১ মাসের বেশি।
২০১৯ সালে খোদ প্রধানমন্ত্রী বসে অপেক্ষা করছিলেন মহাকাশে ভারতের ইতিহাস গড়ার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ প্রত্যক্ষ করতে। কিন্তু ইসরো-তে বসে তাঁর সেই অপেক্ষা কার্যত বিফল হয়।
চাঁদের মাটিতে নামার কয়েক মুহুর্ত আগে যানটির সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরে তার ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় চাঁদের মাটিতে। সেই ধাক্কা সামলে ফের উঠেপড়ে লাগেন বিজ্ঞানীরা। তারই ফল এই চন্দ্রযান-৩ মিশন। চাঁদের মাটিতে অবতরণের লড়াই।
শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের দিকে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩, সঙ্গে নিয়ে গেল ভারতবাসীর মিলিত আশা। এবার ভারতের চাঁদের মাটিতে নামার আশা।
প্রথমে পৃথিবীর কক্ষ ছেড়ে তারপর চাঁদের কক্ষে ঢুকে পড়া। গোল গোল ঘুরতে ঘুরতেই এই কাজ সম্পূর্ণ করবে যানটি। অবশেষে পৌঁছবে চাঁদের মাটির কাছে।
বাহুবলী রকেট মূল যানটিকে মহাকাশে ছেড়ে দেবে। তারপর সেটি তার মত করে ছুটে চাঁদে পৌঁছনোর কথা আগামী ২৩ অগাস্ট। ল্যান্ডার বিক্রমের ওদিনই অগ্নিপরীক্ষা।
চাঁদের মাটিতে ঠিকঠাক অবতরণ করতে পারলে চন্দ্রযান-৩ মিশন সাফল্য পাবে। ভারত ঢুকে পড়বে সেই ক্লাবে যে ক্লাবে ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৩টি দেশ, রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিন সদস্যপদ পেয়ে গিয়েছে।
ভারত হবে চতুর্থ দেশ যারা চাঁদের মাটিতে যন্ত্রের সফল অবতরণ করতে পারল। চাঁদে সঠিক অবতরণ হলে ১৪ দিন সেখানে কাজ করবে বিক্রমের পেটে করে সেখানে পৌঁছে যাওয়া রোভার প্রজ্ঞান।
প্রসঙ্গত চাঁদের ১ দিন মানে পৃথিবীর ১৪ দিন। সেই ১৪ দিন ধরেই নিজের কাজ করবে প্রজ্ঞান। তবে তার আগে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চাঁদে ঠিকমত অবতরণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা