চাঁদে কর্মব্যস্ত ল্যান্ডার ও রোভারের ঘুমের ব্যবস্থা শুরু, কারণ জানাল ইসরো
ঠান্ডা রাত আসছে। কনকনে ঠান্ডা রাত। সেই ঠান্ডা রাতে ল্যান্ডার ও রোভারের ঘুমোতে যাওয়ার বন্দোবস্ত শুরু করে দিল ইসরো।
চাঁদের বুকে ভারতের ঐতিহাসিক স্পর্শের মুহুর্ত গত ২৩ অগাস্ট গোটা বিশ্ব দেখেছে। তারপর সেই ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে নিজের কাজে নেমে পড়েছে রোভার প্রজ্ঞান। বিপদ আপদ কাটিয়ে বুদ্ধিমান প্রজ্ঞান নিজেই নিজের পথ খুঁজে নিচ্ছে চাঁদের ভাঙাচোরা বুকে। গবেষণার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে চুটিয়ে।
বিক্রম এক জায়গায় দাঁড়িয়েই তার কাজও করে চলেছে। কিন্তু এবার তাদের ঘুমের সময় হয়েছে। তাদের এবার ঘুম পাড়াতে হবে।
চাঁদে এবার কনকনে ঠান্ডা রাত নামতে চলেছে। সে রাতে বিক্রম বা প্রজ্ঞানের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই তাদের ঘুম পাড়াতে হবে। সেই বন্দোবস্ত করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। যাতে ল্যান্ডার ও রোভার নিশ্চিন্তে চাঁদের বুকে ঠান্ডা রাতে চুটিয়ে ঘুমিয়ে নিতে পারে।
শনিবার সূর্যকে কোনও বাধা ছাড়াই পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে উড়ে গেছে ভারতের সূর্যযান আদিত্য-এল১। সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বক্তব্য রাখতে গিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই চাঁদের প্রসঙ্গে আসেন।
ইসরোর চেয়ারম্যান সেখানে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান ভাল কাজ করছে বলেও জানান। প্রজ্ঞান অনেক পথ গড়িয়ে গিয়েছে। ল্যান্ডার থেকে ১০০ মিটার দূরে চলে গেছে সে। সেখানে চাঁদের মাটিতে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রজ্ঞান।
তবে এদের এবার ঘুম পাড়ানোর বন্দোবস্ত হচ্ছে বলেও জানান ইসরোর চেয়ারম্যান। চাঁদের মাটিতে অক্সিজেন থেকে টাইটানিয়াম, সালফার থেকে অ্যালুমিনিয়াম এবং এমন অনেক কিছুর খোঁজ ইতিমধ্যেই পেয়েছে প্রজ্ঞান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা