চাঁদের মাটিতে দুরন্ত ব্যাটিং, সেঞ্চুরি হাঁকাল রোভার প্রজ্ঞান
চাঁদের মাটিতে পা দেওয়ার পর সপ্তাহ খানেক কেটেছে। তার মধ্যেই সেঞ্চুরি হাঁকাল ভারতের রোভার প্রজ্ঞান। তার সাফল্যে আপ্লুত বিজ্ঞানীরাও।
চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর ১ সপ্তাহ পার হয়েছে সবে। তারমধ্যেই রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে তার দুরন্ত ক্ষমতার প্রদর্শন শুরু করে দিল। শক্ত হাতে ব্যাটিং করে এরমধ্যেই সেঞ্চুরি করে ফেলল সে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল এমন একটা জায়গা যার মাটি সম্বন্ধে কোনও আগাম ধারনা পৃথিবীর কোনও দেশের নেই। কারণ ওই অংশে এর আগে কোনও জাগতিক যান পা রাখেনি। এই প্রথম সেখানে যন্ত্রের পাদচারণা শুরু হয়েছে।
ফলে ওই জায়গা সম্বন্ধে আগাম স্পষ্ট ধারনা নিয়ে ভারতের বিজ্ঞানীরা যান পাঠাননি। বরং কিছুটা ওই রোবোটিক রোভার প্রজ্ঞানের বুদ্ধিমত্তার ওপর ভরসা রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ইসরোর বিজ্ঞানীদের ভরসা ভাঙতে দেয়নি প্রজ্ঞান।
প্রজ্ঞানের যখন ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে প্রথম চাঁদের মাটিতে চাকা গড়াল সে ছবি ভারতের মানুষকে গর্বিত করেছে, বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। সেই প্রজ্ঞান নামার পরে একটু এগিয়েই বেশ সমস্যায় পড়ে। এক বিশাল ক্রেটারের মুখে এসে পড়ে সে। সেই ক্রেটারে উল্টে গেলে ওখানেই হয়তো শেষ হত ভারতের চাঁদের মাটিতে এবারের মত পাদচারণা। কিন্তু তা হয়নি।
প্রজ্ঞান সেই গর্তকে বুঝে তার পথ বদলেছে। যে রাস্তায় গেলে গর্ত পড়বে না সেই পথে এগিয়েছে। আবার অযথাই যে চাঁদে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রজ্ঞান তাও নয়, সে নিরন্তর তার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে চাঁদের মাটিতে অক্সিজেন ছাড়াও অনেকগুলি ধাতুর খোঁজ মিলেছে।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে প্রজ্ঞান এবার বিক্রমের থেকে ১০০ মিটারের ওপর দূরে চলে গেল। আরও সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে সে। মাত্র ১ সপ্তাহে ১০০ মিটারের এই পাদচারণা দেখে আপ্লুত ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রজ্ঞানের এই সেঞ্চুরির সাফল্য সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা