ঘুমের দেশে রোভার প্রজ্ঞান, কবে ঘুম থেকে উঠতে পারে জানাল ইসরো
চাঁদে টানা ১১ দিন নিজের কাজ সাফল্যের সঙ্গে করেছে প্রজ্ঞান। গত শনিবার থেকে সে চলে গেল ঘুমের দেশে। এরপর যদি ওঠেও তাহলে কবে তা জানাল ইসরো।
গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে পা রাখার কয়েক ঘণ্টা পর রোভার সেই যে চাঁদের মাটিতে গড়ানো শুরু করে তারপর টানা ১১ দিন ধরে তার কাজ চালিয়ে গেছে। এই সময়ে সে নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে গর্ত দেখে এড়িয়ে গেছে। ঘুর পথে নিজের রাস্তা খুঁজে নিয়েছে। সেইসঙ্গে গবেষণায় খামতি দেয়নি।
যার ফলে চাঁদের একেবারেই অচেনা দক্ষিণ মেরুর মাটিতে অক্সিজেন সহ অনেকগুলি ধাতুর খোঁজ পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, টাইটানিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সালফার এবং আরও নানা ধাতু।
এদিকে ১১ দিন কাজ করে যাওয়ার পর এবার চাঁদে রাত নেমেছে। সূর্য অস্ত গেছে। প্রজ্ঞান এবং বিক্রম, ২ যন্ত্রই কিন্তু সূর্যের আলোর ওপর নির্ভরশীল। সূর্যের আলো থেকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করে তারা কর্মক্ষম ছিল।
সূর্য ডোবায় প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সে এখন চাঁদের রাতে ঘুমের দেশে রয়েছে। বিক্রমের সোলার প্যানেলগুলি অবশ্য সম্পূর্ণ চার্জড অবস্থায় রয়েছে। ফলে সে কিছু কাজ চালাতে পারবে। এখন প্রশ্ন হল প্রজ্ঞান কি ঘুম থেকে জাগবে? আর যদি জাগে তবে কবে জাগবে?
ইসরো জানাচ্ছে, প্রজ্ঞানকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা সাধারণভাবে চাঁদের একটা পুরো দিন কাজ করতে সক্ষম। একবার সেখানে সূর্য ডুবলে সে কাজ করতে পারবেনা। তাই সে ফের ঘুম থেকে জেগে কাজ করতে পারবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তবে যদি সে আদৌ জাগে তাহলে ২২ সেপ্টেম্বর জেগে উঠতে পারে। তখন চাঁদে ফের সূর্যোদয় হবে। সোলার প্যানেল কাজ করতে পারবে।
ইসরো এও জানাচ্ছে, প্রজ্ঞান ও বিক্রমকে চাঁদে একবার সূর্যের আলো থাকাকালীন কাজ করার মত করে তৈরি করায় যদি তারা নাও জেগে ওঠে, তাহলেও তারা চাঁদে ভারতের দূত হয়ে থেকে যাবে চিরদিন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা