ডাকাডাকি চলছে, তবু ঘুম ভাঙছে না বিক্রম, প্রজ্ঞানের
সকাল হয়েছে ১ দিন হয়ে গেছে। চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে থাকা বিক্রম ও প্রজ্ঞান কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার নাম নিচ্ছে না। ইসরোর ডাকাডাকি অবশ্য থেমে নেই।
চাঁদের বুকে ভারতের পদার্পণ অবশ্যই ভারতের এক সদর্প পদক্ষেপ ছিল। চাঁদের দক্ষিণ অংশে ভারতই প্রথম পা রাখল। সেখানে ল্যান্ডার বিক্রম সফলভাবে নামার পর তার পেট থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। প্রজ্ঞান গড়াতে শুরু করে চাঁদের মাটিতে। ১০০ মিটারের ওপর পথ অতিক্রমও করে।
বিক্রম আবার যেখানে নেমেছিল, সেখান থেকে কিছুটা দূরে একটা লাফও দেয়। তারপর সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যেই চাঁদে রাত নামে। সূর্য অস্ত যায়।
আর রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য রশ্মির থেকে শক্তি নিয়ে হেঁটে বেড়ানো বা কাজে ব্যস্ত থাকা প্রজ্ঞান ও বিক্রম তাদের শক্তি হারায়। চলে যায় চার্জ। ক্রমে তারা রাতের অন্ধকারে মোড়া চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়ে।
২২ সেপ্টেম্বর আবার চাঁদের দক্ষিণ অংশে সকাল হয়েছে। সূর্যের আলো ফের এসে আছড়ে পড়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের গায়ে। তাদের সোলার প্যানেল সেই আলোয় জেগে উঠবে বলেই আশা করছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
যদিও চাঁদে বিক্রম ও প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে পড়ার পর ইসরো জানিয়ে দিয়েছিল তারা যে ঘুম থেকে জাগবেই এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেটা ভেবেই তাদের চাঁদে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আশা ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা।
যদি সোলার প্যানেলগুলো চার্জড হয়ে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলে সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অন্য যন্ত্রগুলিকেও জাগানোর চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরা। তবে এখনও ঘুমের দেশেই রয়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা