ভাঙাচোরা এড়িয়ে চাঁদের কোথায় নামা যায় খুঁজে দেখছে ল্যান্ডার, পাঠাল ছবি
চাঁদে নামার সময় এসে গেছে। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার আগে ঠিক কোথায় নামলে সুবিধা হয় সেটাই খুঁজে দেখছে ল্যান্ডার। সেই ছবিও পাঠাচ্ছে সে।
চাঁদের একদম কাছে পৌঁছে গেছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। নামা আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই আসবে সেই বিরল মুহুর্ত। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যখন ভারত বিশ্ব ইতিহাসের এক অন্যতম সাফল্যের তালিকায় নাম তুলবে। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিন ছাড়া এখনও যে কাজ আর কেউ পারেনি। চাঁদের মাটিতে পা রাখবে ভারত।
ল্যান্ডার বিক্রম এখন চাঁদের এতটাই কাছে পৌঁছে গেছে যে সে এখন খুঁজে দেখছে কোথায় নামা যায়। যেখানে নামলে খানাখন্দে পড়তে হবেনা। মাটিটা পরিস্কার পাওয়া যাবে। বড় গর্ত নেই। নেই উঁচুনিচু জমির সমস্যা।
ল্যান্ডারে লাগানো রয়েছে ল্যান্ডার হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়ডেন্স ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাই এখন খুঁজছে নামার জায়গা। যে যে জায়গা খতিয়ে দেখছে তার ছবিও লাগাতার পাঠিয়ে চলেছে সে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন সেদিকে।
রাশিয়ার যান লুনা ২৫ চাঁদে নামার আগেই ভেঙে গেছে। তাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম উড়েছে। তাঁরা চেয়ে আছেন ল্যান্ডারের চাঁদে পা দেওয়ার অপেক্ষায়।
ল্যান্ডার চাঁদে নামতে পারলে তা এক ঐতিহাসিক সাফল্য। তারপর ২ ঘণ্টার অপেক্ষা। যেখানে সেটি নামবে সেখানকার চারধারের ধুলো থিতিয়ে যেতে সময় লাগবে।
ঘণ্টা ২ পরে যখন ধুলো থিতিয়ে যাবে তখন ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। তারপর শুরু হবে চাঁদের মাটিতে ভারতের ঘোরাঘুরি।