চাঁদে পা রাখার আগের ১৯ মিনিটই আতঙ্কের, কেন বোঝালেন বিজ্ঞানীরা
চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদে পদার্পণ এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু চাঁদে পা রাখার ঠিক আগের ১৯ মিনিটই আসল আতঙ্কের মুহুর্ত। কারণ বোঝালেন বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রযান চাঁদে নামবে। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে পা রাখবে ভারত। আপাতত এই স্বপ্নে বিভোর ভারতবাসী। গোটা বিশ্বও চেয়ে আছে ভারত কি করে সেদিকে। রাশিয়ার পাঠানো লুনা ২৫ চাঁদে পা রাখার আগেই ভেঙে পড়ার পর ভারতের ল্যান্ডার বিক্রমের দিকে চেয়ে আছেন সকলে।
বিক্রম অবশ্য ঠিকঠাক এগোচ্ছে। চাঁদের ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে ফের ছবি পাঠিয়েছে সে। সে ছবিতে চাঁদের মাটি স্পষ্ট। বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল পৌনে ৬টা থেকে শুরু হবে চাঁদে নামার পালা।
চাঁদ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে থাকাকালীন বিশেষ পদ্ধতি চালু হবে। যা ভারতের যানকে চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে সাহায্য করবে। এখান থেকে ১৯ মিনিট নেবে বিক্রম। এই ১৯ মিনিটই হল আসল আতঙ্কের সময়। অন্তত তাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁবে বিক্রম। গতবার চন্দ্রযান-২ ঠিক এই পর্যায়ে চাঁদে নামার কয়েক মুহুর্ত আগে আছড়ে পড়েছিল চাঁদের মাটিতে। টুকরো হয়ে গিয়েছিল ভারতীয়দের স্বপ্ন।
এবার যাতে তা না হয় সেদিকে নজর রেখেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। যদিও এই নামার সময়ই যত বিপত্তি ঘটতে পারে। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর মতে, যদি ২টি ইঞ্জিন এবং সমস্ত সেন্সর বন্ধও হয়ে যায়, তাহলেও চাঁদে নিশ্চিন্তে নামতে সক্ষম ল্যান্ডার বিক্রম।
সেদিক থেকে ভাবলে অনেকটা নিশ্চিন্ত। তবু বুধবার ইতিহাসের দরজায় দাঁড়িয়ে গোটা ভারত চেয়ে থাকবে বিক্রমের চাঁদে পা দেওয়ার সেই বিরলতম ঘটনার সাক্ষী হতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা