চাঁদ হাতে পেল ভারত, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে লিখল সোনালি ইতিহাস
ভারতের চাঁদ হাতে পাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। বুধবার বিকেলে সেই বিরল মুহুর্তের সাক্ষী হল তামাম বিশ্ব। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটিতে পা দিল ভারতের চন্দ্রযান।
গতবারের ব্যর্থতাকে শক্তি করেই অবশেষে চাঁদের মাটি স্পর্শ করল ভারত। বুধবার বিকেলে চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করল ভারতের ল্যান্ডার বিক্রম। যা ভারতের ইতিহাসে এক অন্যতম সোনালি অধ্যায় রচনা করল। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারতকে চাঁদে নামার বিরল সম্মান এনে দিল ইসরো।
ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম অবশেষে দেশকে গর্বিত করল। বিশ্বে ভারতের মাথা উঁচু করল। চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সবদিক থেকে তৈরি ছিল চন্দ্রযান-৩ মিশন।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ আগেই জানিয়েছিলেন যদি ইঞ্জিন বন্ধও হয়ে যায়, তাহলেও চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে অসুবিধা হবে না বিক্রমের। সেটাই হল।
শেষের ১৯ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস মুহুর্ত পার করে নির্দিষ্ট স্থানেই পদার্পণ করল ল্যান্ডার বিক্রম। আর সেইসঙ্গে ভারত মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্ব মানচিত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। কাঁধে কাঁধ মেলাল আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে।
বুধবার সকাল থেকেই চাঁদে যাতে ভারতের ল্যান্ডার সফল অবতরণ করতে পারে সেজন্য ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পুজো, হোম, যজ্ঞ চলছিল। তামিলনাড়ুর থিঙ্গালুর-এ চন্দ্রনার মন্দিরে সকাল থেকেই বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়েছিল।
চন্দ্রনার মন্দির হল চন্দ্র দেবতার মন্দির। সেই চাঁদেই নামতে চলেছে ভারত। তাই তা যেন সফলভাবে হয় সেজন্য পুজো চলেছে সকাল থেকে।
অগণিত ভারতবাসীর শুভেচ্ছার হাত ধরে আর ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিখুঁত লড়াইয়ের ফল হিসাবে ভারত মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বের অন্যতম শক্তি হয়ে উঠল অচিরেই।
এখন বিক্রমের পেটে থাকা রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়ে চাঁদের মাটিতে নানা গবেষণা চালাবে। অনেক তথ্য বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞানীদের উপকৃত করবে। যা ভারতকে মহাকাশ গবেষণার মানচিত্রে আরও সম্মানের জায়গায় তুলে নিয়ে যাবে।