ফের গারদের বাইরে বিকিনি কিলার চার্লস শোভরাজ, তবে মানতে হবে শর্ত
১৯ বছর পর ফের গারদের বাইরে বিকিনি কিলার চার্লস শোভরাজ। তবে শর্ত মানতে হবে তাঁকে। শর্ত মেনেই জেলের বাইরে আসার অনুমতি পেলেন চার্লস।
মনে করা হয় তাঁর হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে ২০ জন তরুণীকে। যার মধ্যে ১৪ জন তরুণী থাইল্যান্ডের। অভিযোগ ৬ জন তরুণীকে বিকিনি পরা অবস্থায় থাইল্যান্ডের বিখ্যাত পাটায়া সমুদ্রসৈকতে খুন হতে হয় চার্লস শোভরাজের হাতে।
৭০-এর দশকে ফ্রান্সের বাসিন্দা চার্লস শোভরাজ একটা আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়ান। তরুণীদের মুগ্ধ করা ছিল তাঁর বাঁহাতের কাজ। সিরিয়াল কিলার শোভরাজের টার্গেট ছিলেন তরুণীরা। বিশেষত বিকিনি পরিহিত তরুণীরা।
দিল্লিতে তাঁকে গ্রেফতার করে রাখা হলেও পরে জেল থেকে চম্পট দেন চার্লস। পরে গোয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করার পর এক সময় ছাড়া পান শোভরাজ। তিনি এমনভাবেই হত্যা করতেন যাতে কেউ তাঁর টিকি ছুঁতে না পারেন।
সেই চার্লস শোভরাজ অবশেষে নেপালে ধরা পড়েন। ১ জন কানাডিয়ান ও ১ জন মার্কিন তরুণীকে সেখানে হত্যার অভিযোগে শোভরাজকে কাঠমান্ডুর একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তারপর থেকে তাঁকে জেলেই কাটাতে হয়েছে।
চার্লসের প্রেমিকা নিহিতা বিশ্বাস দাবি করেছেন চার্লস আগেই নেপাল জেল থেকে মুক্তি পেতে পারতেন। তবে নেপালের রাজনৈতিক দলগুলি কেবল তাদের কর্মী সমর্থকদের জেল থেকে মুক্তি দিতে ব্যস্ত থাকে। ফলে চার্লসের মুক্তি পিছোতে থাকে। অবশেষে ১৯ বছর ২ মাস পর জেলমুক্ত হলেন চার্লস শোভরাজ।
বর্তমানে ৭৮ বছর বয়সী শোভরাজ নেপালে জেলমুক্তির পর কটা দিন কাটাতে চলেছেন। কিন্তু তাঁকে ১৫ দিনের মধ্যেই ফ্রান্সে ফিরতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শোভরাজকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত হিসাবে নেপালের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে চার্লস শোভরাজ এই যে নেপাল ছাড়বেন, জীবদ্দশায় আর কখনও নেপালে ফিরতে পারবেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা