মাসের তৃতীয় শনিবার মানেই স্কুলে বসবে দাবার আসর
প্রতিমাসের তৃতীয় শনিবার মানেই কিন্তু স্কুলে স্কুলে দাবার আসর। ছাত্রছাত্রীরা মেতে উঠবে দাবা দেখায়। উদ্যোগের পিছনে রয়েছে অনেক বড় কারণও।
তাস, দাবা, পাশা, তিন সর্বনাশা-র সেই প্রবাদ যে কতটা ভুল তা আগেই প্রমাণ হয়ে গেছে। ভারত থেকে বিশ্বনাথন আনন্দ তো বটেই, প্রজ্ঞানন্দর মত অনেক দাবাড়ুই বিশ্বস্তরে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। সেই দাবা এবার স্কুলে স্কুলে চালু করার উদ্যোগ সামনে এল।
স্কুলে স্কুলে প্রতি মাসের তৃতীয় শনিবার ছাত্রছাত্রীরা দাবা খেলবে। ৬৪ ঘরের যুদ্ধে মেতে উঠবে সকলে। এতে তাদের মনঃসংযোগ, মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বাড়বে।
জীবনে নিয়মানুবর্তিতা এবং আত্ম প্রতিফলন সামনে আসবে। আর যেটা হবে তা হল স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমা। যা গত আড়াই বছরে বহু ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কতকটা নেশার মত ঢুকে গিয়েছে।
রাজস্থানের সব স্কুলেই প্রতিমাসের তৃতীয় শনিবার মানে নো ব্যাগ ডে। ওই দিন স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা পড়ার ব্যাগ ছাড়াই আসে। সেদিন মরুরাজ্যের প্রতিটি স্কুলে এবার থেকে শুরু হচ্ছে দাবা দেখা।
ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তা যেমন উপকারে লাগবে, তেমনই এভাবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দাবা খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। তাদের মধ্যে থেকে উঠে আসবে নতুন নতুন দাবা প্রতিভা। যারা দেশে বিদেশে সফল দাবাড়ু হিসাবে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারবে।
রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বিকানের-এ এই স্কুলে স্কুলে দাবা প্রকল্প চালু করলেন। আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে রাজ্যের সব স্কুলে এই দাবার আসর শুরু হয়ে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা