রাজ্যজুড়ে মহাধুমধামের সঙ্গেই পালিত হল ছট পুজো। ছট পুজো উপলক্ষে এদিন শহরের গঙ্গার ঘাটগুলোতে ছিল বিশেষ পুলিশি বন্দোবস্ত। দুপুর থেকেই একের পর এক ছোট লরি বা মাটাডোরে করে মানুষজন আসতে শুরু করেন গঙ্গার ঘাটে। এ পুজো সূর্য পুজো। গঙ্গার জলে কোমর পর্যন্ত নেমে পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্যের দিকে চেয়ে হয় এই পুজো। হয় আরতি, প্রদীপ ভাসান, পুজো দেওয়া। কঠিন নিয়মের মধ্যে দিয়ে নিখুঁতভাবে হয় এই পুজো। প্রধানত মহিলারাই এই পুজো করে থাকেন। এ পুজোয় না আছে কোনও মূর্তি, না দরকার পড়ে পুরোহিতের। অথচ এই পুজোর কথা পুরাণেও রয়েছে।
কলকাতা তো বটেই রাজ্যেরও বিভিন্ন প্রান্তেও ছট পুজো পালিত হয়েছে সনাতনি রীতি মেনে। যেখানে নদী আছে সেখানে নদীর জলে নেমেই পুজো করেছেন মানুষজন। যেখানে নেই সেখানে পুকুর বা দিঘির জলে হয়েছে পুজো। এ পুজোয় বাজি ফাটানোর রেওয়াজ আছে। কলার কাঁদি এ পুজোর অন্যতম প্রধান প্রসাদ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও ছট পুজো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে সনাতনি রীতি মেনে পালিত হয়েছে। বিহারে এই পুজো অন্যতম উৎসবের চেহারা নেয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি।