Kolkata

দেশ জুড়ে সাড়ম্বরেই পালিত ছট পুজো, শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী

দেশ সহ রাজ্য জুড়ে মহাধুমধামের সঙ্গেই পালিত হল ছট পুজো। ছট পুজো উপলক্ষে এদিন শহরের গঙ্গার ঘাটগুলোতে ছিল বিশেষ পুলিশি বন্দোবস্ত। দুপুর থেকেই একের পর এক ছোট লরি বা মাটাডোরে করে মানুষজন আসতে শুরু করেন গঙ্গার ঘাটে। এ পুজো সূর্য পুজো। গঙ্গার জলে কোমর পর্যন্ত নেমে পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্যের দিকে চেয়ে হয় এই পুজো। হয় আরতি, প্রদীপ ভাসান, পুজো দেওয়া। কঠিন নিয়মের মধ্যে দিয়ে নিখুঁতভাবে হয় এই পুজো। শনিবার বিকেল ও রবিবার ভোরে এই পুজো হবে। প্রধানত মহিলারাই এই পুজো করে থাকেন। এ পুজোয় না আছে কোনও মূর্তি, না দরকার পড়ে পুরোহিতের। অথচ এই পুজোর উল্লেখ পুরাণেও পাওয়া যায়।

কলকাতায় এদিন সর্বত্রই ছট পুজো মহাধুমধামের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। বিতর্কও ছিল। রবীন্দ্র সরোবরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনেই হয়েছে ছট পুজো। এটুকু বাদ দিলে বাকি কলকাতায় ছট পুজোর উৎসাহের খামতি ছিলনা। রাজ্যেরও বিভিন্ন প্রান্তেও ছট পুজো পালিত হয়েছে সনাতনি রীতি মেনে। যেখানে নদী আছে সেখানে নদীর জলে নেমেই পুজো করেছেন মানুষজন। যেখানে নেই সেখানে পুকুর বা দিঘির জলে হয়েছে পুজো। এ পুজোয় বাজি ফাটানোর রেওয়াজ আছে। কলার কাঁদি এ পুজোর অন্যতম প্রধান প্রসাদ। সঙ্গে থাকে পেঁপে সহ নানা ফল, মিষ্টি। জল ছাড়া এ পুজো সম্ভব নয়। তাই নদী তো বটেই, কাছাকাছি জলাশয়গুলিতেও এদিন ভিড় নজর কেড়েছে। ছট পুজো উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


প্রতিবেশি বিহারে আবার ছট পুজো কার্যত প্রধান উৎসব। বিহারের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ছট পুজোর আয়োজন হয়। মানুষ সাধ্যমত পুজোর আয়োজন করে থাকেন। তবে পুজো ভক্তি ভরেই হয়। বিহার জুড়েই এদিন উৎসাহ ছিল চরমে। শুধু বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে এদিন ছট পুজোর উৎসাহ নজরে পড়েনি। অন্যদিকে আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এদিন ছট পুজোয় ব্যস্ত ছিলেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছট পুজো পালিত হয় মহা ধুমধামের সঙ্গে। ছট পুজো উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button