World

জঞ্জাল সাফ করতে গিয়ে কোটিপতি এক ব্যক্তি

বাড়িটা অনেকদিন সাফ করা হয়নি। তাই তিনি বাড়ির জঞ্জাল সাফে হাত দিয়েছিলেন। সেখানেই একটি পুরনো মুচকে থাকা কাগজ পান তিনি। যা তাঁকে রাতারাতি কোটিপতি বানিয়ে দিল।

পড়ুয়া জীবনে একটি কথা প্রায়ই বইয়ের পাতায় পাওয়া যেত। একটি কবিতার লাইন। যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন। সেই পংতিটি যে চিরদিনের জন্য কতটা প্রাসঙ্গিক তা আরও একবার প্রমাণ হল।

এক ব্যক্তি তাঁর বাড়ি সাফ করছিলেন। বাড়ি একটা সময়ের পর নানা অবাঞ্ছিত কাগজ, জিনিসে ভরে যায়। সেসব এক জায়গায় করে ফেলে দিয়ে বাড়িটি সাফ রাখাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। সেটা করার সময় অনেক ছেঁড়া, মোচড়ানো কাগজও পান তিনি।


ফেলে দেওয়ার আগে তাঁর মনে হয় একবার দেখে নেওয়া যাক কাগজের টুকরোগুলো কিসের। সেইমত তিনি সেগুলি জড়ো করা জঞ্জালের মধ্যে থেকে বার করে দেখছিলেন। আর তা করতে গিয়েই তিনি একটি ব্যাঙ্কের পাসবই পান।

যা কার্যত ছেঁড়া কাগজে পরিণত হয়েছে। দোমড়ানো, মোচড়ানো দশা। সেটি ভাল করে পরীক্ষা করে ওই ব্যক্তি দেখেন সেটি তাঁর বাবার একটি পাসবই। যেটি সম্বন্ধে বাড়ির কারও কিছু জানা ছিলনা।


তাঁর বাবা ৬০-এর দশকে ওই ব্যাঙ্কে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন। যে টাকায় তিনি কখনও হাত দেননি। এদিকে বাবা ১০ বছর আগেই গত হয়েছেন। সেই পাসবই যে ব্যাঙ্কের সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে।

ফলে ওই পাসবইয়ের আর কোনও মূল্য না থাকারই কথা। কিন্তু পাসবইয়ের ওপর একটি কথা লেখা ছিল। যা ওই ব্যক্তির নজর কাড়ে। সেখানে লেখা ছিল স্টেট গ্যারান্টেড। অর্থাৎ যাই হোক, সরকার প্রয়োজনে টাকা ফেরত দেবে।

ওই ২টি শব্দকে হাতিয়ার করে চিলির বাসিন্দা হিনোজোসা নামে ওই ব্যক্তি চিলি সরকারের কাছে তাঁর বাবার সেই টাকা ফেরত দেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু প্রথমে সরকার তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করে দেয়।

হাল না ছেড়ে হিনোজোসা এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত অবশেষে সরকারকে নির্দেশ দেয় সুদ সহ হিনোজোসার বাবার সেই টাকা যেন হিনোজোসার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

হিসাব বলছে ভারতীয় মুদ্রায় চিলি সরকারের কাছ থেকে ৯ কোটি টাকা পাচ্ছেন হিনোজোসা। একটা আপাত ফেলে দেওয়া কাগজের টুকরো কার্যত জীবন বদলে দিল ওই ব্যক্তির।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button