ভিনগ্রহের জীব নাকি মানুষ, ৬ ইঞ্চির মমি নিয়ে উঠেছিল প্রশ্নের ঝড়
একটি মমি উদ্ধার হয়। দেহটিকে সযত্নে মমি করা হয়েছিল। মাত্র ৬ ইঞ্চির ছিল কঙ্কালটি। সে সময় প্রশ্নের ঝড় উঠেছিল। ওটা মানুষ, নাকি ভিনগ্রহের জীব।
কঙ্কালটির মাথার কাছটা লম্বা হয়ে গেছে। একদম ওপরের দিকটা কোণার মত। শরীরের হাড় দেখে বোঝা দায় সেটা কোনও মানুষের নাকি ভিনগ্রহের জীবের।
চিলির আতাকামা মরুভূমিতে এটি পাওয়া যায় মমি রূপে। এটিকে মমি করে রাখা হয়েছিল সযত্নে। কঙ্কালটি দেখার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এটি ভিনগ্রহেরই জীব। যাকে পাওয়ার পর মমি করে রাখা হয়। এদিকে সেটি পাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা তার পরীক্ষা শুরু করেন। আর তা করতে গিয়েই জানা যায় সত্যটা ঠিক কি!
বিজ্ঞানীরা জানান, এই ৬ ইঞ্চির কঙ্কালটি কোনও ভিনগ্রহের জীবের নয়, ওটি মানুষের কঙ্কাল। তাহলে এমন ক্ষুদ্র কেন?
বিজ্ঞানীরা জানান, ওটি এক বালিকার কঙ্কাল। তাঁরা ডিএনএ পরীক্ষার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত। যখন তাকে মমি করা হয় তখন তার বয়স ছিল ৬ বছর। কিন্তু তার শরীরের বৃদ্ধি সঠিক ছিলনা। বরং নানা ধরনের জিনগত মিউটেশনের সমস্যা ছিল তার দেহে।
ফলে তার মাত্র ৬ ইঞ্চির কঙ্কাল পাওয়া যায়। যা মানুষের সাধারণত হতে পারেনা বলেই মনে হয়। কিন্তু ওটি যে মানুষেরই কঙ্কাল তা স্পষ্ট করে দেন বিজ্ঞানীরা।
একটি জেনেটিক সমস্যা ধরা পড়লেও ঠিক কী কারণে ওই কঙ্কালটি এমন ৬ ইঞ্চির হয়ে গেল তা ঠিক পরিস্কার হয়নি বিজ্ঞানীদের কাছে। প্রসঙ্গত ২০০৩ সালে এই কঙ্কালটি উদ্ধার হয়।