জঞ্জালের স্তূপে পাওয়া একটি ছেঁড়া পাসবই কোটিপতি বানাল যুবককে
জঞ্জালের স্তূপে কার্যত অবহেলায় পড়েছিল সেটি। ঘর সাফ করার জন্য সেগুলি ফেলে দিতেই যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ নজরে পড়ে একটি পুরনো পাসবই।
বাড়িতে জঞ্জাল জমে গেলে মাঝেমাঝে তা সাফ করতে হয়। তাতে বাড়ি পরিস্কার ও ছিমছাম থাকে। অপ্রয়োজনীয় পুরনো ছেঁড়া কাগজপত্র জঞ্জাল বাড়ায়। এমনই অনেক বহু পুরনো কাগজ সব এক জায়গায় জড়ো করে ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। এমন সময় তাঁর একটি ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের দিকে নজর যায়।
বহু পুরনো প্রায় নষ্ট হতে বসা পাসবই। যা খুলে ওই যুবক দেখেন সেটি তাঁর বাবার পাসবই। ৬০ বছরের পুরনো। বাবার মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। তাঁর যে একটি এমন পাসবই ছিল তাও বাড়ির কারও জানা ছিলনা।
জঞ্জাল ফেলার আগে আচমকা চোখে পড়া সেই পাসবই খুলে খতিয়ে দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান ওই যুবক। এ তো গুপ্তধনের সমান!
তিনি যে ওই টাকা উদ্ধার করতে পারলে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাবেন সেটা বুঝতে সময় লাগেনা এক্সিকুয়েল হিনোহোসা নামে ওই যুবকের।
চিলির বাসিন্দা ওই যুবক জানতে পারেন ১৯৬০-এর দশকে তাঁর বাবা ১ লক্ষ ৪০ হাজার চিলিয়ান পেসো ব্যাঙ্কে জমিয়েছিলেন একটি নতুন বাড়ি কেনার জন্য। সেই টাকা এখন ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব করলে ১০ কোটি টাকা হয়েছে।
যদিও সেই টাকা যে এক্সিকুয়েল গেলেন আর হাতে পেলেন তা হয়নি। বরং ওই ব্যাঙ্ক বহুকাল হল বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সময় চিলি সরকার এই টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলেও বর্তমানে চিলির ক্ষমতাসীন সরকার তা মানতে রাজি নয়। তাই এখন আদালতে টাকা উদ্ধারের জন্য হাজির হয়েছেন এক্সিকুয়েল। এখন দেখার কবে তিনি তাঁর বাবার জমানো টাকা সুদে আসলে ফেরত পান।