কথায় আছে, বয়স যদি হয় আশি, পোঁটলা বেঁধে চলো কাশী। কিন্তু চিনের ওয়াং দাশুন সেই ধাতু দিয়ে তৈরি নন। তাই ৮০ বছর বয়সেও ব্যাট হাতে মডেলিংয়ের মাঠে নেমে পরেছেন। আর হাঁকিয়েছেন ছক্কা। দিব্যি সুস্থ মানুষ। শরীরী গঠনে তাঁর কাছে হার মানবেন সিক্স বা এইট প্যাকের যুবকরা। বৃদ্ধ হয়েছেন বলে বাকিদের মতো সংসার জীবন থেকে ছুটি নিতে চাননি দুই সন্তানের বাবা ওয়াং। এক সময়ে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন বিনোদন জগতে। ৬৯ বছরে পা দিতে নতুন কিছু করার খেয়াল জাগে তাঁর মনে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। চিনের ফ্যাশন উইকে ব়্যাম্পে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হেঁটে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেন ওয়াং। এই বয়সে বাকিরা যখন রোগে ভুগে হরি হরি করে সংসারের নদী পেরোতে পারলেই বাঁচেন, সেই জায়গায় চিনের এই প্রবীণ চুটিয়ে ফ্যাশন শো করে যাচ্ছেন। তাঁকে বলা হচ্ছে চিনের ‘হটেস্ট’ ঠাকুরদা।
ওয়াং কিন্তু ঘোরতর সংসারি। কখনও বাড়িতে তাঁর ছোট্ট নাতনির সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। তারই ফাঁকে নিয়ম মেনে চলে শরীরচর্চা। এছাড়া বই পড়া, গুনগুন করে গান গাওয়া আর পরিমিত খাদ্যাভ্যাসই যে তাঁর সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি সে কথা জানাতে ভোলেননি ওয়াং। মনটাকে চিরতরুণ রাখার পক্ষপাতী এই হটেস্ট গ্র্যান্ডপা। অনেক মডেলিংয়ের কোম্পানি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। বেশ কিছু প্রজেক্টে হাতও দিয়েছেন তিনি। শুধু প্রবীণ নয়, নবীনদের কাছেও তিনি হয়ে উঠেছেন আইকন।
একসময় বিশ্বকবি নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তাঁরা যেন ‘আধমরাদের’ ঘা মেরে বাঁচিয়ে তোলে। এই যুগে বোধ হয় চিনের এই সাড়া জাগানো মডেল সেই কাজের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে।