চোর কে চিনিয়ে দিল দিল মরা মশা
জ্যান্ত মশার পক্ষেই কি চোর ধরা সম্ভব! কিন্তু সেই কাজটাই করে দেখাল মরা মশা। মরা মশার হাত ধরেই চোর পর্যন্ত পৌঁছে গেল পুলিশ।
চুরি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার কিনারা পুলিশ কিছুতেই করতে পারছিলনা। চুরি যে বাড়িতে হয়েছে সেখানে পুলিশ একাধিকবার হাজির হয়। চারিদিক খতিয়ে দেখে যদি কিছু সূত্র পাওয়া যায়। আর তা করতে গিয়েই পুলিশের নজরে পড়ে কয়েকটা মরা মশা।
দেওয়ালেও মশা বসার পর তাকে মারা হয়েছে বলে দেখতে পায় পুলিশ। দেওয়ালে রক্তের দাগও দেখা যায়। মশা মারার পর মশার পেটে থাকা রক্ত দেওয়ালে লেগে গিয়েছে।
পুলিশ সেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। বাড়িটা ঘুরে দেখতে গিয়ে পুলিশ এটাও বুঝতে পারে যে চোর বারান্দা দিয়ে বাড়িতে ঢোকে। কারণ বাড়ির মূল ফটক ভিতর থেকে তালাবন্ধ ছিল।
ফাঁকা বাড়িটির রান্নাঘরে পুলিশ নুডলসের প্যাকেট এবং ডিমের খোলা পায়। তাছাড়া বাড়ির শোওয়ার ঘরে একটি মশার ধূপও যে জ্বলেছিল তার হদিশ পান তদন্তকারীরা।
সব দেখে পুলিশের অনুমান হয় চোর বাড়িতে ঢোকার পর রাতে এখানেই ছিল। ফাঁকা বাড়ি পেয়ে রান্না করে ডিম দিয়ে নুডলস খায়। তারপর মশার ধূপ জ্বালিয়ে শুয়ে নেয়।
তখনই মশারা তাকে কামড়েছিল। বিরক্ত চোর দেওয়ালে বসা মশাকে থাপ্পড় মেরে মেরেও ফেলে। কিন্তু তার আগেই মশা তাকে কামড় দেওয়ায় তার রক্ত মশার পেটে ছিল।
মশা মারার পর সেই রক্ত দেওয়ালে লেগে যায়। সেই রক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখে ওই ডিএনএ নমুনা তাদের তালিকায় থাকা চোরদের ১ জনের সঙ্গে মিলছে।
আর দেরি না করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ জানতে পারে সেই ওই বাড়িতে চুরি করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের ফুঝোউ শহরে।