বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন ৭০ হাজার উচ্চশিক্ষিত
চিত্রটা মোটেও সুখের নয়। ৭০ হাজার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রাপ্ত এখন বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়ে পেট চালাচ্ছেন। সেই ছবি এবার উঠে এল ইন্টারনেটে।
দেশে এখন বহু উচ্চশিক্ষিত যুবকও ফুড ডেলিভারি অ্যাপের হয়ে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত। রোজগার খুঁজতে এই পথ বেছে নিতে হচ্ছে তাঁদের। একই ছবি ধরা পড়ল খাতায় কলমে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির রাষ্ট্রেও।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি তথ্য বহু মানুষের মন ভারাক্রান্ত করে দিয়েছে। সেখানে ৭০ হাজার মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত যুবক বাড়িতে বাড়িতে অর্ডার দেওয়া খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন।
এভাবেই উচ্চশিক্ষিত এই যুবকরা তাঁদের সংসার চালাচ্ছেন। উপার্জন করছেন। কিন্তু তাঁদের কি এই কাজ করার কথা? নাকি এর চেয়ে ভাল চাকরি তাঁদের প্রাপ্য।
অবশ্যই বেশি ভাল চাকরি প্রাপ্য। কিন্তু চিনের বেকারত্ব এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত যুবকদের জন্যও চাকরি নেই। তাঁরাও এখন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের হাত ধরে বাইক নিয়ে চলেছেন খাবার পৌঁছতে।
চিন সরকার অবশ্য এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। তাদের মতে, এগুলো মিথ্যা তথ্য, গুজব। কিন্তু এশিয়া ফ্যাক্ট চেক ল্যাব তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা খুব একটা ভুল নয়। এটাই সামগ্রিক চিত্র।
২০২১ সালে ৭০ হাজারের মত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রাপ্ত যুবক খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজই করেছেন। ২০২০ সালে চিনে ১ কোটি ৬ লক্ষ বেকার ছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা