এ দেশে বাজার থেকে লুঠ হয়ে যাচ্ছে পাতিলেবু, দাম চড়ছে লাফিয়ে
পাতিলেবুর চাহিদা যে এমন করে আকাশছোঁয়া চেহারা নেবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কৃষকরা। কিন্তু আচমকা সেটাই হয়েছে এই দেশে।
পাতিলেবু নিয়ে কার্যত কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে। দোকানে পাতিলেবু পড়তে পাচ্ছেনা। পাতিলেবু কিনতে ক্রেতারা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন স্টলে। যে যত পারছেন কিনে নিচ্ছেন। পরে যদি না পাওয়া যায়! সেই আতঙ্কও কাজ করছে তাঁদের মধ্যে।
যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে দিনে এখন সে দেশে পাতিলেবু লাগছে প্রায় ৩০ টন! ৩০ টন পাতিলেবু একদিনে শেষ হয়ে যাচ্ছে বাজার থেকে। এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ১ সপ্তাহের মধ্যে।
চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে পাতিলেবুর যোগান বজায় রাখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। দোকানে পাতিলেবুর এমন চাহিদা খুব স্বাভাবিকভাবে পাতিলেবুর দামও আকাশছোঁয়া করে দিয়েছে। যদিও তাতে কেনায় খামতি নেই। মানুষ বেশি দাম দিয়েও যত পারছেন পাতিলেবু বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
এমন মনে করার কোনও কারণ নেই যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে বা পরিবহণ ধর্মঘট রয়েছে। চিনে পাতিলেবু অস্বাভাবিক চাহিদা বৃদ্ধির কারণ সেখানে হুহু করে বাড়তে থাকা করোনা।
এদিকে চিন জুড়ে ফ্লুয়ের ওষুধে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে মানুষ চাইছেন স্বাভাবিক উপায়ে নিজেদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে। যাতে করোনা থেকে দূরে থাকা যায়।
আর এর জন্য ভিটামিন সি খুব জরুরি। সেই ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করাতে তাঁরা বেছে নিচ্ছেন পাতিলেবুকে। পাতিলেবু যে করোনার ক্ষেত্রে কার্যকরী তা অবশ্য গত প্রায় ৩ বছরে বিশ্বের প্রায় সব মানুষ জেনে গিয়েছেন।
এখন চিনে যা পরিস্থিতি তাতে সেখানকার মানুষ পাতিলেবু যথাসম্ভব খেয়ে নিজেদের শরীরকে করোনা প্রতিরোধের জন্য তৈরি রাখতে চাইছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা