মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া হ্রদ, উদ্ধার ১২ কোটি বছরের পুরনো ডিম
কেটে গেছে ১২ কোটি বছর। অথচ ডিমগুলোর অনেকগুলোই আজও অবিকৃত রয়ে গেছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগের উড়ন্ত সরীসৃপদের সেই ডিম পাওয়া গেল।

প্রাগৈতিহাসিক যুগের উড়ন্ত সরীসৃপদের ডিম পাওয়া গেল পাহাড়ের খাঁজে। চিনের জিংজিয়াং প্রদেশ থেকে উদ্ধার হল ক্রিটেসিয়াস যুগের সরীসৃপদের ২১৫টি ডিম।
মাঝখানে কেটে গেছে ১২ কোটি বছর। অথচ পৃথিবীর প্রথম উড়ন্ত সরীসৃপদের ফসিল হয়ে যাওয়া ডিমগুলোর অনেকগুলোই আজও অবিকৃতভাবে রয়ে গেছে।
এমনকি প্রায় ৭ সেন্টিমিটার লম্বা ডিমের পাতলা আস্তরণের ভিতরে অপরিণত ভ্রূণগুলি পর্যন্ত অপরিবর্তিত চেহারায় রয়েছে। এর জন্য অবশ্য ধন্যবাদ দিতে হবে গোবি মরুভূমিকে।
মরুভূমির বালিরাশি এত বছর ধরে হেমিপটেরাস টায়ানশানেনসিস প্রজাতির সরীসৃপের ডিমগুলোকে যত্ন করে যেন আগলে রেখেছিল।
তীক্ষ্ণ দাঁত ও প্রায় ১৩ ফুট দৈর্ঘ্যের বিরাট ডানাযুক্ত এই সরীসৃপের অবলুপ্তির পরেই আবির্ভাব হয় অ্যাভিস প্রজাতি বা পাখিদের।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, গোবি মরুভূমির এই জায়গাটি কোটি কোটি বছর আগে একটি হ্রদ ছিল। সেই হ্রদের তীরে বসে থাকা উড়ন্ত প্রাণিগুলি হঠাৎ কোনও শক্তিশালী ঝড়ের সম্মুখীন হয়।
তখনই হ্রদের তীরে থাকা সরীসৃপগুলি ডিম সহ এসে পড়ে হ্রদের জলে। সলিল সমাধি হয় তাদের। হ্রদের কাদায় কালক্রমে ফসিলে পরিণত হয় ডিম সহ সরীসৃপগুলি।
মৎস্যভুক প্রজাতির ওই সরীসৃপের ১০০টির মতো ফসিলও পাওয়া গেছে। এত বিপুল পরিমাণে ফসিল উদ্ধার হওয়ায় জায়গাটিকে ‘হেমিপটেরাস টায়ানশানেনসিস-এর বাগান’ নামে ডাকলে যে খুব একটা ভুল হবে না বলে একমত বিজ্ঞানীরা।