এ জায়গায় গেলে ভুলেও পাত খালি করে খাবার খাবেন না
যে জায়গার যা আচার। স্থানভেদে আচারও বদলে যায়। বদলে যায় ব্যাখ্যা। একটি জায়গায় যা ভাল সেটাই অন্য কোথাও অত্যন্ত খারাপ কিছু।
ভারত বা বাংলাদেশে খেতে বসে পাতে খাবার রেখে উঠে যাওয়া মোটেও ভাল চোখে নেওয়া হয়না। কেউ নিমন্ত্রণ করলে পাতে খাবার পড়ে থাকলে এটা মনে করা হয় যে তাঁর পেট ভর্তি হয়নি এবং তাঁর খাবার ভাল লাগেনি।
জাপানেও মনে করা হয় একই কথা। খাবার পাতে পড়ে থাকাকালীন খাওয়া শেষ মানে তাঁর খাবার ভাল লাগেনি এবং তাঁর পেট ভরেনি।
সহজ কথায় পাত খালি করে পরিস্কার করে খাওয়াকে অত্যন্ত ভাল চোখে নেওয়া হয় এখানে। কিন্তু সেই পাত খালি করে উঠে যাওয়াকে মোটেও ভাল চোখে নেওয়া হয়না অপর এক দেশে।
কেউ খেতে বসে পাত খালি করে পরিস্কার করে খেয়ে উঠে যাওয়ার অন্য ব্যাখ্যা হয়। সেখানে আবার পাত একদম চেঁচেপুঁছে খালি মানে যিনি খাচ্ছেন তাঁর পেট ভরেনি। তিনি আধপেটা খেয়েই উঠে গেলেন।
এভাবে পাত পরিস্কার করে খাওয়াকে চিনে গ্রহণযোগ্য আচরণ বলেও মনে করা হয়না। বরং তা খারাপ চোখেই নেওয়া হয়। যেখানে জাপান বা ভারতে ওই খালি প্লেট মানে ব্যক্তি তৃপ্তি করে খেয়েছেন।
পাতে খাবার রেখে উঠে যাওয়াকে ভারত বা জাপানের মানুষ একেবারেই ভাল চোখে নেন না। সেখানে চিনে ঠিক উল্টোটা। অথচ ৩টি দেশ কিন্তু প্রায় গায়ে গায়েই অবস্থান করছে। অথচ তাদের এই চিরাচরিত ভাবনা একেবারেই উল্টো।
তাই দেশ ভেদে যে সংস্কৃতি ও পুরাতনি ভাবনা ও আচরণ বদলে যেতে পারে, এমনকি ঠিক উল্টোও হতে পারে তার এক বড় উদাহরণ এই পাতে খাবার রাখা বা না রাখার ব্যাখ্যা।