ভাল্লুকের খোলসে খাঁচায় ঘুরছে মানুষ, জবাব দিল চিড়িয়াখানা
একটি ভাল্লুক চিড়িয়াখানার একটি ঘেরাটোপে ঘুরছে। তা দেখতে গিয়ে কার্যত তাজ্জব বনে গেলেন অনেকে। ভাল্লুক নাকি মানুষ! এই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল চিড়িয়াখানা।
একটি ভাল্লুক সটান ২ পায়ে দাঁড়িয়ে রইল তাকে দেখতে আসা মানুষদের দিকে চেয়ে। ২ হাত নেড়ে অঙ্গভঙ্গিও করল। ২ পায়ে অনেক প্রাণি দাঁড়িয়ে ওঠে সামান্য সময়ের জন্য। কিন্তু তা সাময়িক সময়ের জন্য। তাও ঠিক সোজা হয়ে মানুষের মত দাঁড়াতে পারেনা।
এ ভাল্লুক কিন্তু সটান সোজা হয়ে মানুষের মত দাঁড়িয়ে পড়ল। এমনকি দাঁড়ানোর পর তার পিছনের দিকে চামড়ায় যে ভাঁজ পড়ল তা কোনও কাপড়ে ভাঁজ পড়লে যেমন দেখতে হয় ঠিক তেমন দেখাল।
এই দেখে অনেকেই নিশ্চিত করেন এটা ভাল্লুক হতেই পারেনা। এটা মানুষ যাঁকে ভাল্লুকের পোশাক পরিয়ে ওই চিড়িয়াখানায় ভাল্লুকের ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে। সেই মানুষকে দেখে দর্শকরা ভাল্লুক ভেবে নিচ্ছেন।
যদিও এই দাবি মানতে নারাজ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হাংঝু চিড়িয়াখানার এই ভাল্লুক নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। অনেকেই মেনে নেন ওটা ভাল্লুক নয়, ভাল্লুকের পোশাকে মানুষ।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রথম দিকে চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলে জানিয়েছে, ওটা ভাল্লুকই। ওটি ভাল্লুকের একটি বিশেষ প্রজাতি। এদের বলা হয় সান ভাল্লুক। যারা সাধারণ ভাল্লুকের চেয়ে চেহারায় ছোট হয়। তারা এভাবে দাঁড়াতেও পারে। আর তাদের গায়ের লোম ভাল্লুকদের চেয়ে কম হয়। এরা দাঁড়ালে তাদের পিছন দিকে চামড়ায় যে ভাঁজ পড়ে সেটাই পড়েছে। ওটা কাপড়ের ভাঁজ নয়।
চিড়িয়াখানার আরও দাবি, মানুষকে যদি ভাল্লুকের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেই সময় যে গরম পড়েছিল তাতে ২ থেকে ৩ মিনিটও টিকতে পারতেন না তিনি। ভাল্লুকের পোশাকের মধ্যে গরমে হয়তো মারাই যেতেন। যদিও চিড়িয়াখানার সাফাই শোনার পরও অনেকের এখনও মনে হচ্ছে ওটা ভাল্লুক নয় মানুষই ছিল।